বাইডেনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার কাজটাই শুধু ভালো পেরেছেন জেলেনস্কি: ট্রাম্প
Published: 20th, February 2025 GMT
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে তিরস্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল বুধবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ যুদ্ধের পেছনে ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের সমালোচনা করেন। শুধু তিনিই (ট্রাম্প) এ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবেন বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
জেলেনস্কিকে কৌতুকাভিনেতা আখ্যায়িত করে ট্রাম্প বলেন, ভাবুন তো, একজন বিনয়ী সফল কৌতুক অভিনেতা, ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে বলেছিলেন।
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে জেলেনস্কি এমন যুদ্ধে খরচ করতে বলছেন, যা জেতার নয়। এ যুদ্ধ কখনো শুরু করাই উচিত ছিল না। আবার এটি এমন এক যুদ্ধ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্প ছাড়া তিনি (জেলেনস্কি) মিটমাটও করতে পারবেন না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধে ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে ২০০ বিলিয়ন ডলার বেশি খরচ করেছে। এ যুদ্ধ থেকে ইউরোপ তাদের উশুল আদায় করে নিতে পারলেও যুক্তরাষ্ট্র কিছুই ফেরত পাবে না।
এ যুদ্ধে খরচ করায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘কেন “ঘুমন্ত” জো বাইডেন এ নিয়ে সমীকরণের পথে হাঁটেননি। আমাদের চেয়ে তো এ যুদ্ধ ইউরোপের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগোলিক শক্তিশালী অবস্থানের দিকে ইঙ্গিত করেন ট্রাম্প লেখেন, ‘আমাদের একটি বিশাল, সুন্দর মহাসাগর রয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, সর্বোপরি জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ অর্থ ইউক্রেনে পাঠিয়েছে, তার অর্ধেকও সেখানে পৌঁছায়নি।
জেলেনস্কি ইউক্রেনে তাঁর জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বলেও মনে করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, জেলেনস্কি নির্বাচন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ভোটের জরিপে তাঁর অবস্থান খুবই নিচের দিকে। তিনি একটা কাজই ভালো পেরেছেন, তা হলো, বাইডেনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে পেরেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ন ট র ম প ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।
অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।
ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।
ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।
স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’
উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’
পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।