চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (চিনিকল) চত্বরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন দফায় ৬টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এবার ৪টি বোমা সাদৃশ্য বস্তুসহ আলীহিম নামের এক কারিগরকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর) জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে দর্শনার পার্শ্ববর্তী আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের মধ্য থেকে বোমা সাদৃশ্য বস্তু গুলো উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর) জাকিয়া সুলতানা জানান, চিনিকল পল্লীতে দফায় দফায় বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধারে ঘটনায় আমরা তল্লাশি অভিযান শুরু করি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত পূর্বক আটক করার জন্য জাল বিস্তার করা হয়। আটক আলীহিম (৫২) উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আজিজুল হক মল্লিকের ছেলে। সে এক সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। 

তিনি বলেন, আলীহিমের শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাদের এক পর্যায়ে আলীহিমের শ্বশুর বাড়ির সামনের একটি বাঁশঝাড়ের মধ্য থেকে ৪টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়। 

দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর বলেন, এর নেপথ্যে আর কারা জড়িত আছেন, কে এর মাস্টার মাইন্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে অভিযান চলমান আছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক আল হ ম

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ