বিশ্বকাপ ফাইনালের চুমু–কাণ্ডে রুবিয়ালেসের জরিমানা
Published: 20th, February 2025 GMT
২০২৩ নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের বহুল আলোচিত চুমু–কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। স্পেনের উচ্চ আদালত আজ হেনি হেরমোসোকে যৌন হয়রানির দায়ে রুবিয়ালেসকে ১০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছেন।
তবে চুমুকাণ্ডে জরিমানা হলেও চাপপ্রয়োগের মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে সম্মতিবিহীন চুমুর জন্য এক বছর এবং চাপপ্রয়োগের জন্য দেড় বছরের কারাদাণ্ড চেয়েছিলেন।
২০২৩ সালের আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ফিফা নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ফাইনাল শেষে পুরস্কারবিতরণী মঞ্চে ফুটবলাররা পদক নিতে উঠলে হেরমোসোকে চুমু খান মঞ্চে থাকা রুবিয়ালেস। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতির এই কাণ্ডে প্রথমে স্পেন, এরপর বিশ্ব ফুটবলাঙ্গনে তোলপাড় ওঠে। এ ঘটনার জেরে রুবিয়ালেসকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় ফিফা।
হেনি হেরমোসোর ঠোঁটে চুমু দেওয়াই কাল হলো লুইস রুবিয়ালেসের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয়রা কেন ঝুঁকছেন বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর–উজবেকিস্তান–রাশিয়ার দিকে
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য বরাবরই বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম সেরা গন্তব্য। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে দুই বছরের এক চিত্রে দেখা গেছে উল্টো প্রবণতা। দেশটির শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অন্য অনেক দেশকে বেছে নিচ্ছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকছেন রাশিয়া, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর ও উজেবিকস্তানের দিকে। কেন এমন প্রবণতা, শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান, রাশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশে ঝুঁকে পড়ার কারণ খুঁজেছেন ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সাংবাদিক মিলান শর্মা।
বাংলাদেশে ২০২৩ সালে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৩৬৮। এ সংখ্যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ২৩২ জন।আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার আরটিপি বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফ, উপবৃত্তি-ভ্রমণ ভাতাসহ নানা সুযোগ ৩ ঘণ্টা আগেপশ্চিমা দেশগুলোয় পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভারতের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমছে। ২০২৪ সালে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ২০২৩ সালের সঙ্গে তুলনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন এ তথ্য অনুযায়ী, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোতে শিক্ষার্থীদের হার গত বছরের (২০২৩ সাল) তুলনায় ২০২৪ সালে কমে গেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন এ তথ্য পার্লামেন্টে তুলে ধরেছে। ২০২৩ সালে যেখানে বিদেশে পাড়ি দেওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৯২ হাজার, সেখানে ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৯ হাজারে।
ভারতীয় শিক্ষার্থী সবচেয়ে কম পড়তে গেছেন কানাডায়। রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর যাওয়া সংখ্যা প্রায় ৪১ শতাংশ কমে গেছে। ২০২৩ সালে যেখানে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩২ ভারতীয় শিক্ষার্থী ছিলেন কানাডায়, ২০২৪ সালে সেটি কমে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬০৮ জনে নেমেছে।
ছবি: সংগৃহীত