সারা দেশে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজবাড়ীতেও সমাবেশ করার কথা জানানো হয়; কিন্তু নানা কারণে রাজবাড়ীতে কয়েক দফা স্থগিত করা হয়। কাল রোববার সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রের বরাত দিয়ে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপি। পরে আজ শনিবার সন্ধ্যায় আবার কালকের সমাবেশ হওয়ার কথা জানানো হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় পর্যায়ক্রমে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজবাড়ীতেও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কেন্দ্র থেকে প্রথমে ১২ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের কথা জানায়; কিন্তু তাঁর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় ১২ ফেব্রুয়ারি করা হয়নি। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করতে বলা হয়; কিন্তু স্থানীয় কিছু জটিলতার কারণে ১৯ ফেব্রুয়ারিও স্থগিত করে কাল ২৩ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, ২৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে যোগ দিতে স্থানীয়ভাবে অনেক কাজ থাকায় ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ীর কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়। আজ সন্ধ্যার দিকে কেন্দ্র থেকে কাল রোববারের সমাবেশ সম্পন্ন করতে আবার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যার আলোকে সমাবেশ সফল করতে স্বল্প সময়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি দুটি ধারায় বিভক্ত। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া।

কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পর্যায়ের সমাবেশ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিলেও দুটি পক্ষ আলাদা সমাবেশ করতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির কাছে প্রস্তাব দেয়; কিন্তু কেন্দ্র থেকে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দুই পক্ষের সবাইকে একত্র হয়ে একটি সমাবেশ করতে বলা হয়। যার আলোকে জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি উভয় পক্ষের নেতাদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সমাবেশস্থলে একটি মঞ্চ থাকলেও ভেন্যুতে আড়াআড়ি বাঁশের বেড়া দিয়ে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের আলাদা বসার সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা ধরনের সমালোচনা তৈরি হয়।

বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী বলেন, জেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রের নির্দেশে সমাবেশ সফল করতে দুই পক্ষের নেতাদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে তিন দফা বৈঠক হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে কাল রোববার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল বিকেলে স্থগিত করা হয়। আজ সন্ধ্যায় আবার কেন্দ্র থেকে সমাবেশ সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান ও মাসুকুর রহমানের উপস্থিত থাকার কথা আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স অন য য়

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফজলুর রহমান

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের নাম ঘোষণা করেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসন থেকে প্রাথমিকভাবে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের নাম ঘোষণা করেছে দলটি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আসন্ন নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে ভোটের মাঠে লড়বেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। তবে, ঘোষিত প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে।’’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই লক্ষ্যে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ