চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের হাইকমিশনার, দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদ
Published: 24th, February 2025 GMT
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেছেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে বিকশিত হচ্ছে। উভয়ের অর্থনৈতিক উন্নতিতে দুই দেশ কাজ করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন খাতেও উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনারে উপস্থিত হয়ে সৈয়দ আহমেদ মারুফ এ কথা বলেন। ‘রিসেন্ট ডাইনামিকস অব পাকিস্তান-বাংলাদেশ রিলেশনস’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাজনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজ পারভেজ সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন।
হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে তাঁরা আশাবাদী। তাঁরা এ অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য একযোগে কাজ করতে চান। তাঁরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে পারস্পরিক স্বার্থে বর্তমান ও আগামীর পথে চলতে চান।
গত কয়েক মাসে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন। গত কয়েক মাসে এ সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। পাকিস্তানে যেতে ভিসার জন্য হাইকমিশনে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।’
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু হয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পাকিস্তান ৩০০ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে। শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করে পূর্ণ অর্থায়নের এই স্কলারশিপের বিষয়ে জানতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’