নানার ৫শ টাকা নেওয়ায় বকুনি, অভিমানে লুকানো শিহাব মারা গেল বস্তাচাপায়
Published: 3rd, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর পাওয়া গেছে শিহাব (৯) নামের এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ। সোমবার বিকেলে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত কারখানার আঙিনায় পাওয়া যায় শিশুটির লাশ। সেটি বালুর বস্তার নিচে পড়ে ছিল। তিন দিন আগে অভিমানে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় শিহাব।
স্বজনের বরাতে পুলিশ জানায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি শিহাব নানার পকেট থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে ২০০ টাকা খরচ করে ফেলে। পরদিন সকালে এ জন্য তার ওপর রাগারাগি করেন মা ও নানা। এর পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় শিহাব। শনিবার থেকে তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।
মৃত শিহাব পাবনা সদরের চর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের রতন শেখের ছেলে। সে থাকত ঘোষপুরে নানা আকাত উল্লাহর বাড়িতে। দিনমজুর রতনের তিন ছেলে সিয়াম (১২), শিহাব (৯) ও সিজান (৭)। সংসারে অভাব থাকায় মেজো ছেলে শিহাব নানাবাড়িতে থাকত। কখনও ইটভাটায়, কখনও বা গরুর রাখাল হিসেবে কাজ করত সে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঘোষপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার আমিরুল মোল্লার পরিত্যক্ত কারখানার আঙিনায় খেলা করছিল স্থানীয় কয়েকজন শিশু। পাশে কয়েকটি বস্তা ভরা বালু ত্রিপলে ঢাকা ছিল। এ সময় শিশুরা দুর্গন্ধ পেয়ে ত্রিপল ধরে টান দিয়ে বস্তার নিচে লাশ দেখতে পায়। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে সেটি শিহাবের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করেন।
চরসাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজমের ধারণা, শিহাব বাড়ি থেকে পালিয়ে ত্রিপলের নিচে লুকিয়ে ছিল। দুর্ঘটনাবশত বালুর বস্তার নিচে চাপা পড়ে সে মারা গেছে।
শিশুর বাবা রতন শেখ বলেন, অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল ছেলে। কীভাবে মারা গেছে, জানি না। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।
কুমারখালী থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গান নিয়েই আমার সব ভাবনা
কর্নিয়া। তারকা কণ্ঠশিল্পী। অনলাইনে প্রকাশ পাচ্ছে বেলাল খানের সঙ্গে গাওয়া তাঁর দ্বৈত গান ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
‘ভাঙা ঘর’ ও ‘আদর’-এর পর প্রকাশ পাচ্ছে ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’। একনাগাড়ে দ্বৈত গান গেয়ে যাচ্ছেন, কারণ কী?
শ্রোতাদের চাওয়া আর নিজের ভালো লাগা থেকেই দ্বৈত গান গাওয়া, এর বাইরে আলাদা কোনো কারণ নেই। কারণ, সব সময় ভাবনায় এটাই থাকে, যে কাজটি করছি, তা শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ করবে কিনা। সেটি একক, না দ্বৈত গান– তা নিয়ে খুব একটা ভাবি না। তা ছাড়া রুবেল খন্দকারের সঙ্গে গাওয়া ‘ভাঙা ঘর’ ও অশোক সিংয়ের সঙ্গে গাওয়া ‘আদর’ গান দুটি যেমন ভিন্ন ধরনের, তেমনি বেলাল খানের সঙ্গে গাওয়া ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’ অনেকটা আলাদা। আসল কথা হলো, যা কিছু করি, তার পেছনে শ্রোতার ভালো লাগা-মন্দ লাগার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
দ্বৈত গানের সহশিল্পী হিসেবে নতুনদের প্রাধান্য দেওয়ার কারণ?
সহশিল্পীর কণ্ঠ ও গায়কি যদি শ্রোতার মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার মতো হয়, তাহলে সে তরুণ, নাকি তারকা– তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন পড়ে না। এমন তো নয় যে, নতুন শিল্পীরা ভালো গাইতে পারে না। তা ছাড়া তারকা শিল্পী ছাড়া দ্বৈত গান গাইব না– এই কথাও কখনও বলিনি। তাই দ্বৈত গানে তারকাদের পাশাপাশি নতুনদের সহশিল্পী হিসেবে বেছে নিতে কখনও আপত্তি করিনি।
প্রতিটি আয়োজনে নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরার যে চেষ্টা, তা কি ভার্সেটাইল শিল্পী প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য?
হ্যাঁ, শুরু থেকেই ভার্সেটাইল শিল্পী হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে চেয়েছি। এ কারণে কখনও টেকনো, কখনও হার্ডরক, আবার কখনও ফোক ফিউশনের মতো মেলোডি গান কণ্ঠে তুলেছি। গায়কির মধ্য দিয়ে নিজেকে বারবার ভাঙার চেষ্টা করছি। সব সময়ই নিরীক্ষাধর্মী গান করতে ভালো লাগে। একই ধরনের কাজ বারবার করতে চাই না বলেই নানা ধরনের গান করছি। নিজেকে ভেঙে সব সময়ই নতুনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা জারি রাখছি।
প্রযোজক হিসেবে নিজের চ্যানেলের জন্য নতুন কী আয়োজন করছেন?
আয়োজন থেমে নেই। তবে কবে নতুন গান প্রকাশ করব– তা এখনই বলতে পারছি না। কারণ একটাই, অন্যান্য কাজের মতো গান তো ঘড়ি ধরে কিংবা সময় বেঁধে তৈরি করা যায় না। একেকটি গানের পেছনে অনেক সময় দিতে হয়। কোনো কোনো গানের কথা-সুর-সংগীতের কাটাছেঁড়া চলে দিনের পর দিন। এরপর যখন তা সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে হয়, তাখনই প্রকাশ করি।
গান গাওয়ার পাশাপাশি মডেলিং বা অভিনয় করার ইচ্ছা আছে?
সত্যি এটাই, গান নিয়েই আমার সব ভাবনা। তারপরও অনেকের অনুরোধে কয়েকটি পত্রিকার ফ্যাশন পাতার জন্য মডেল হিসেবে কাজ করেছি। তবে মডেল হব– এমন ইচ্ছা নিয়ে কাজ করিনি। অভিনয় নিয়েও কিছু ভাবি না। অন্য কোনো পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই না।