চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ
Published: 5th, March 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে জানানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে জেল সুপারের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট চক্র গড়ে উঠেছে। ফলে তারা কারাগারে সিট-বাণিজ্যের পাশাপাশি বন্দিদের স্বজনরা দেখা করতে গেলে টাকা দাবি করা হচ্ছে। যারা টাকা দিতে পারছেন তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। তা না হলে আগামীতে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মুত্তাসিন বিশ্বাস বলেন, “গত কয়েক দিন আগে কারাগারে আমার ভাইকে দেখতে গেলে টাকা চাওয়া হয়। যারা টাকা চেয়েছিলেন তারা হলেন কারাগারে কর্মরত শরিফুল ও আকবর। আমার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে দিতে রাজি হন তারা। টাকাগুলো জমা দেয়ার সময় আমি ভিডিও করেছিলাম। পরে টাকাগুলো ফেরত দিয়ে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন শরিফুল ইসলাম।”
অভিযোগের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেল সুপার মো.
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে আশিক তানভির, যুগ্ম সদস্যসচিব আহমেদ ইমতিয়াজ পারভেজ, সদস্য পারভেজ, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতা সাদ হোসেন মুজাহিদসহ অন্যরা।
ঢাকা/শিয়াম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইনব বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।