ঈদ মানেই নতুন পোশাক, উৎসবের রঙ, আর উদযাপনের আনন্দ! ঈদ আয়োজনের এই ঐতিহ্যকে আরও রঙিন করে তুলতে দেশের জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘সারা’ লাইফস্টাইল নিয়ে এসেছে ‘পার্সিয়ান টেল’ থিমে ঈদুল ফিতরের আকর্ষনীয় সংগ্রহ।

পারস্যের রাজকীয় নকশা ও আধুনিক ট্রেন্ডের অপূর্ব সংমিশ্রণের এবারের সংগ্রহে তরুণ-তরুণী, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের জন্য থাকছে আরামদায়ক পোশাকসহ পার্টি ও ফেস্টিভ লুকের দারুণ সব আউটফিট।

সারার এবারের ঈদ আয়োজনের পোশাকের ডিজাইনে থাকছে স্ক্রিন প্রিন্ট, সাবলিমেশন প্রিন্ট, কারচুপি, এমব্রয়ডারি, অল ওভার প্রিন্ট। পোশাকের মোটিফ ও নকশায় রাখা হয়েছে উৎসবের আমেজ। এছাড়াও এবস্ট্র্যাক্ট, ফ্লোরাল, ট্রেডিশনাল ও জিওমেট্রিক বিভিন্ন মোটিফ রয়েছে ডিজাইনে। আনারকলি, প্রিন্সেস লাইন, ডাবল লেয়ার, এ লাইন, সিমেট্রিক, এসিমেট্রিক বিভিন্ন কাজ থাকছে পোশাকগুলির প্যাটার্নে। তাছাড়াও নিখুঁত হাতের কারুকাজ দিয়েও সাজানো হয়েছে ‘সারার ঈদুল ফিতরের এবারের আয়োজন। এসব পোশাকে ফেব্রিক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে কটন, জর্জেট, ভিসকস, ডবি সিল্ক, ক্রেপ জর্জেট, নিট, ডেনিম, জ্যাকার্ড কটন ইত্যাদি।

ঈদের এবারের আয়োজনে মেয়েদের জন্য ‘সারা লাইফস্টাইল’ এনেছে শাড়ি, থ্রি-পিস, ফ্যাশন টপস, আনারকলি থ্রি-পিস, কুর্তি, কো-অর্ডস, ডেনিম প্যান্ট, শ্রাগ, ওয়ান পিস, টু পিস, স্কার্ফ, শারারা, কাফতান, টি-শার্ট। 

সারার এবারের আয়োজনে ছেলেদের জন্য থাকছে এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবি, ক্যাজুয়াল শার্ট, ফরমাল শার্ট, টি-শার্ট, পোলো-শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, কার্গো প্যান্ট, কোটি, পায়জামা ইত্যাদি।

সারার ঈদ আয়োজনে গুণগত মান ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আকার, ডিজাইন ও প্যাটার্নের ভিন্নতার দিক বিবেচনা করে এসব পোশাকের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। ক্রেতারা এসব পোশাক পেয়ে যাবেন ২৫০ টাকা থেকে ৯ হাজার ৯৯০ টাকার মধ্যে। পাশাপাশি এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবি ও শাড়ি থাকছে এবারের ‘সারা’র ঈদের কালেকশনের অন্যতম আকর্ষণ।

মেয়ে শিশুদের জন্য থাকছে টি-শার্ট, পার্টি ফ্রক, কটন ফ্রক, থ্রি-পিস, ফ্যাশন টপস, টু পিস, লেহেঙ্গা। এছাড়াও ছেলে শিশুদের জন্য থাকছে সিঙ্গেল শার্ট, ফ্যাশনেবল শার্ট-প্যান্ট সেট, পাঞ্জাবি, পায়জামা, ডেনিম প্যান্ট, নিট প্যান্ট, টি-শার্ট, ইনফ্যান্ট সেট, নিউ বর্ণ সেট, ইনফ্যান্ট পাঞ্জাবি সেট, পলো শার্ট ইত্যাদি।

এছাড়াও ‘সারা’এবার ঈদে নিয়ে এসেছে ফ্যামিলি কালেকশন (বাবা-ছেলে-মা-মেয়ে)। তাছাড়া কাপলদের জন্য থাকছে একই ডিজাইনের বিভিন্ন পোশাকের আয়োজন।

উল্লেখ্য, স্নোটেক্স গ্রুপ-এর লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ কাজ শুরু করেছে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে। ঢাকার মিরপুর-৬ এ অবস্থিত ‘সারা’র প্রথম আউটলেট নিয়ে কাজ শুরুর পর বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১, ব্লক এ এর ৪০ এবং ৫৪ নম্বর শপটি ছিল ‘সারা’র দ্বিতীয় আউটলেট। 

তৃতীয় আউটলেটটি হলো বাড়ি- ১৯ বি/৪সি ও বি/৪ ডি, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর এ ঠিকানায়। উত্তরায় ‘সারা’র পোশাক পাওয়া যাবে হাউজ নম্বর-২২, সোনারগাঁ জনপদ, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা এ ঠিকানায়। বারিধারা জে ব্লকে আছে ‘সারা’র আরেকটি আউটলেট। বনশ্রী ই ব্লকের ১ নম্বর রোডের ৪৮ নম্বর বাড়িতে রয়েছে ‘সারা’র ষষ্ঠ আউটলেট। ঢাকার বাইরে ‘সারা’র প্রথম আউটলেট রংপুরে জাহাজ কোম্পানির মোড়েই। 

রাজধানী ঢাকার ওয়ারীতে (বাড়ি ৩৬/১ নম্বর, র্যাংকিন স্ট্রিট, ওয়ারী, ঢাকা-১২০৩) রয়েছে ‘সারা’র অষ্টম আউটলেট। ‘সারা’র নবম আউটলেট রাজশাহীতে (বাড়ি- ৫৩ ও ৫৪, ইউনাইটেড টাওয়ার, রানি বাজার, রাজশাহী-৬০০০) ও রাজধানী ঢাকার বাসাবোতে (বাড়ি- ৯৬/২, পূর্ব বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪) রয়েছে ‘সারা’র দশম আউটলেট। বগুড়ায় (হোল্ডিং নং-১১৩, ১০৯ সিটি সেন্টার, জলেশ্বরীতলা বগুড়া -৫৮০০) রয়েছে ‘সারা’র একাদশতম আউটলেট। সিলেটে (হাউজ- ৩১ এ, কুমারপাড়া, ওয়ার্ড ১৮, ভিআইপি রোড, সদর, সিলেট- ৩১০০) চালু হয়েছে ‘সারা’র আরও একটি আউটলেট। ফেনীতে (‘ওহাব টাওয়ার’, হোল্ডিং নং- ৩১০, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, ওয়ার্ড নং ১৬, ফেনী শহর) কার্যক্রম শুরু হয়েছে ‘সারা’র আরও একটি আউটলেটের। বরিশাল শহরে (বিবির পুকুর পাড়, ফকির কমপ্লেক্স, ১১২ সদর রোড, বরিশাল-৮২০০) রয়েছে ‘সারা’র আরও একটি নতুন আউটলেট। সম্প্রতি নারায়নগঞ্জে (টি এস এন প্লাজা‌ ১৪৫/০৪, বঙ্গবন্ধু রোড,-নারায়ণগঞ্জ- ১৪০০) চালু হয়েছে সারা্‌#৩৯;র আরও একটি নতুন আউটলেট। এছাড়াও খুব শিগগিরই খুলনা শহরের শিববাড়ী মোড়ে ‘সারা’র আরও একটি নতুন আউটলেট চালু হতে যাচ্ছে।

আউটলেটের পাশাপাশি ‘সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট- https://saralifestyle.

com, ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/saralifestyle.bd এবং ইন্সটাগ্রাম https://www.instagram.com/stories/saralifestyle.bd থেকে ক্রেতারা ঢাকার ভেতরে অর্ডার করে হোম ডেলিভারি পেতে পারেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে সারাদেশে কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপনার অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি পাবেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র ক ন ক ট র আরও একট আউটল ট র ড জ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ