তরুণীর মাথা ছাড়া মরদেহ পড়ে ছিল ভুট্টা ক্ষেতে
Published: 5th, March 2025 GMT
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর মাথা ছাড়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ভাড়ালদা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ভুট্টার মালিক ক্ষেত দেখতে যান। তখন বোরখা পরা, মাথা ছাড়া তরুণীর মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। ওই ইউপি সদস্য পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। বুধবার ভোর রাতের দিকে ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন্নবী জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ওই তরুণীর বয়স আনুমানিক ২০-৩০ বছরের মধ্যে। মরদেহের পাশে একজোড়া স্যান্ডেল ও একটি মানকি ক্যাপ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারী এগুলো ফেলে রেখে গেছেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মাথা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি