পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ তাদের একটি পুরনো অয়েল ট্যাঙ্কার বিক্রি করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ট্যাঙ্কারের নাম এমটি ওমেরা লিগ্যাসি।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে জাহাজ বিক্রির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।

আরো পড়ুন:

বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে ফের বিক্ষোভ

ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার কারসাজি, জড়িতদের ৫৩.

২৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড

এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসির জাহাজটি ১ লাখ ৭ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার। এর বয়স ২০ বছর। জাহাজটি ২ কোটি ২৭ লাখ ডলারে বিক্রি করা হবে। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা (১ ডলার ১২০ টাকা ধরে)।

বিক্রি প্রক্রিয়ার জন্য কমিশন হিসেবে ব্যয় হবে ৩ শতাংশ। সে হিসেবে জাহাজটি বিক্রি করে এমজেএল পাবে ২৬৪ কোটি ২২ লাখ টাকা।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ