নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গরুর খামারের এক পাহারাদারকে হত্যা করে সাতটি গরু নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার রাত ১১টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার মধ্যে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গোদারিয়া চৌরাস্তা এলাকার মাহবুবুল হকের গরুর খামারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পাহারাদারের নাম মো. জয়নাল মিয়া (৬৫)। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুরের পুকুরিয়াকান্দা গ্রামে। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়নাল মিয়া দুই মাস ধরে মাহবুবুল হকের গরুর খামারে পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে আরও দুজন কর্মচারী কাজ করেন। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে হেলাল নামের একজন পাহারাদার দিনের দায়িত্ব শেষ করে জয়নালকে রাতের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হেলাল কাজে ফিরে জয়নালের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিতে চান। কিন্তু তাঁকে নির্ধারিত স্থানে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

একপর্যায়ে গরুর খড়ের ঘরের খুঁটির সঙ্গে জয়নালের হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। পরে হেলাল খামারের মালিকসহ আশপাশের মানুষকে বিষয়টি জানান। তাঁরা এসে জয়নালের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) আল-ইমরানুল আলম, দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়াসহ পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল।

ওই খামারের মালিক মাহবুবুল হক বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা আমার খামারে পাহারাদার জয়নালকে হত্যা করে ১১টির গরুর মধ্যে ৭টি গরু নিয়ে গেছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) আল-ইমরানুল আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল বুধবার রাত ১১টার পর থেকে আজ সকাল ছয়টার মধ্যে যেকোনো এক সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ হত্যাকাণ্ড ও গরু লুটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জয়ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’

তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।

তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।

এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’

তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ