Samakal:
2025-08-01@21:58:00 GMT

অশ্রুবারিচয়

Published: 6th, March 2025 GMT

অশ্রুবারিচয়

তুমি আমাকে ছেড়ে যাচ্ছো না কেন রায়হান?
প্রশ্নটা ধক্‌ করে লাগে রায়হানের। প্রশ্নের অন্তরালে কোনো হতাশা, অভিযোগ কিংবা ক্ষোভের স্পর্শ নেই। কিন্তু পেছনে যেন লুকিয়ে আছে অনেক কিছুই। সে ঠিক ধরতে পারে না– প্রমি কি মুক্তি চাইছে? নাকি অনিশ্চিত একটা সম্পর্ককে আশ্বস্ততার চাদরে মুড়ে দেওয়ার পথে রায়হানের একঘেয়ে অজুহাত সে মেনে নিতে পারছে না? ভেতরটা ফাঁপা লাগে তার, হাহাকার হয়ে বাজে। কেবল একটাই স্পষ্ট শব্দ বেরোয় তার কণ্ঠনালি ভেদ করে– ভালোবাসি!
এরপর নিকষ নিস্তব্ধতার ঝাঁপি নামে বসে থাকা পার্কের বেঞ্চিজুড়ে। কারও মুখেই কোনো শব্দ বেরোয় না। বেশ কিছুক্ষণ। চারপাশে স্বাভাবিক ছন্দে বাতাস বয়ে চলে। কংক্রিটের শহর থেকে খানিক দূরের গোছানো রিসোর্টের এক চিলতে এই পার্কে হুটহাট দু’একটা পাখির ডাক শোনা যায়। মাঝে মাঝেই ওদের পাশ দিয়ে হেঁটে যায় ঘুরতে আসা যুগল। ওদের স্বতঃস্ফূর্ত হেঁটে চলা, যুবকের বাহুর নিচে আগলে ধরা যুবতীর শাড়ি সামলে সাবলীল ঘুরে বেড়ানো বেশ আগ্রহ নিয়েই বেহায়ার মতো তাকিয়ে দেখে রায়হান। ভালো লাগে তার। কী নির্ভরতা! কী স্বাভাবিক ছন্দ! ওদের নিশ্চয়ই অনিশ্চয়তার রেশ নেই কোনো। কিংবা কে জানে, হয়তো আছে!
বেশ কিছুদিন ধরেই কেমন জানি একটা অদৃশ্য অস্বস্তির ছায়া ওদের সম্পর্কের মাঝে উঁকি দিচ্ছিল। ঠিক অস্বস্তিও না, আবার সাবলীলও না। যেটাকে ডিফাইন করাও দুরূহ। এমন না যে ওরা একে অপরকে ভুল বুঝছে, আবার এমনও না যে সব ঠিকঠাক চলছে। ঠিক কী কারণে এই দূরত্ব, সেটা বোঝাও মুশকিল। সেটা কাটাতে কিনা কে জানে, শহরতলিতে কোথাও নিরিবিলি সময় কাটানোর চিন্তা থেকে এই রিসোর্টে আসে ওরা। 
সুন্দর গোছানো চারপাশ। কৃত্রিম লেক ঘিরে রেখেছে রিসোর্টকে। চারদিকে সারি সারি নারকেল আর সুপারি গাছ, মাঝে প্রশস্ত লনে ছড়ানো রঙিন ক্যানভাস চেয়ার, যেখানে বসে বিকেলের নরম রোদ গায়ে মাখা যায়।
রিসোর্টের মূল ভবনটি কাঠ ও লাল ইটের সংমিশ্রণে তৈরি, যেন গ্রাম্য ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেল। একতলায় খোলা বারান্দা, যেখানে দুলতে থাকা কুণ্ডলী বাঁধানো দোলনাগুলো অতিথিদের আমন্ত্রণ জানায় যেন। ভেতরে ঢুকলেই কাঠের আসবাব, দেয়ালে পুরোনো দিনের জল রঙের ছবি– একটা নস্টালজিক আবহ তৈরি করে। রিসোর্টের অভ্যর্থনা কর্মী জানাচ্ছিল– চারপাশে ঘিরে আছে যে লেকটা, সেটায় সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে ভেসে বেড়ায় কাঠের নৌকাগুলো। লেকের ধারে কাঠের ব্রিজ পেরিয়ে গেলে রিসোর্টের কটেজগুলোর দেখা মেলে– প্রতিটিই আলাদা আলাদা নকশার, কিন্তু সবগুলোতেই খোলামেলা বারান্দা, যেখানে বসে রাতের ঝিঁঝি পোকার ডাক শোনা যাবে নিশ্চিত।
কেন ভালোবাসো?
হু?
কেন বাসো?
নিকষ নিস্তব্ধতা ভেঙে প্রমিই জানতে চায় ফের। প্রশ্নটা যেন দূর পাহাড়ের গম্ভীর ডাক হয়ে রায়হানের ভেতর প্রতিধ্বনি তোলে। চোখে চোখ রেখে তাকায় সে। সেখানে প্রশ্নের চেয়েও বেশি কিছু লুকিয়ে আছে। হয়তো আকুতি কিংবা বিরক্তি। রায়হান ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। কিন্তু এটা বুঝতে পারে, উত্তরটা এড়িয়ে গেলে সে পুরোপুরি হারিয়ে যাবে। তাও কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে সে। গলার কাছে আটকে থাকা কথাগুলো বেরোতে চায়, কিন্তু পারে না।
ক’দিন আগেই প্রমি বলছিল– রায়হান, তোমাকে প্রায়োরিটি দিতে গিয়ে ভেবেছিলাম এভাবে একসময় আমি নিঃস্ব হয়ে যাব। হাজারো বিষয়ে আমারও দায়বদ্ধতা আছে; ফলে আমার প্রায়োরিটি দেওয়াটা খুব সস্তা না, রায়হান। আই হ্যাভ টু পে ফর ইট ইন এভরি সিঙ্গেল মোমেন্ট। আমারও চারপাশের হাজারটা সামাজিক প্রশ্ন ঠেলে টিকে থাকতে হয়। তোমাকে প্রায়োরিটি দিই, কারণ– ভালোবাসি। তোমার জন্য সীমাহীন মায়া আমার। আমার প্রতিটি অস্তিত্বে জড়িয়ে আছো তুমি। অথচ তোমার প্রায়োরিটি লিস্টে আমি তলানিতে, কিছু একটা চাইলেই যেন মহাকাশ ভেঙে আসে তোমার, মায়ার ছোঁয়া আমি পাই না। নিজেকে খুব তুচ্ছ লাগে জানো? কিন্তু আমার সেই ভাবনাটা ভুল, আমি প্রায়োরিটি দিতে গিয়ে শূন্য হয়ে যাইনি, বরং আরও বেটার কিছু করার ইচ্ছে জাগে আমার।
তোমার কি মনে আছে রায়হান? সেদিনের কথা? ব্রিজের ওপর শত মানুষের ভিড়ে তুমি আমাকে প্রথম চুমু খেয়েছিলে? মনে আছে সেদিন সারাটা রাস্তা হাতটা ধরে বসেছিলে? কী তীব্রতা ছিল তোমার চাওয়ায়! অথচ দেখো, ইদানীং আমি হাত ধরে থাকলেও তুমি ফোনে নোটিফিকেশন চেক করো। ধরে থাকা হাতের কোনো রেসপন্স থাকে না। কোনো উষ্ণতা থাকে না। ক্রমে ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে না আমাদের পথচলাটা?
রায়হান ভাবনার ঝাঁপি সাজিয়ে বসলেও প্রমি উঠে দাঁড়ায়। তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে হাতের নখ খোঁটে। যেন বোঝাতে চায়– ‘কেন এসব প্রশ্ন করা? এর চেয়ে ঢের ভালো চুপ করে থাকা’। 
আমি কী করব, প্রমি? তোমার মতো করে তোমাকে হয়তো আমি কখনোই ভাবি নাই। স্বার্থপরের মতো তোমাকে আঁকড়ে ধরে শ্বাস নেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি, তোমার শ্বাস বন্ধ করে। আমার প্রকাশ হয়তো অতটা না, যতটা ভেতরে খুবলে খায়। তোমার মনের অগোচরে প্রশ্ন জাগতেই পারে আমি আদৌ ভালোবাসি কিনা, সেটাই স্বাভাবিক। আমার অনিশ্চিত অস্তিত্বে তুমি হয়তো ক্লান্ত। কিন্তু কীভাবে তোমাকে বোঝাই– ‘কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়’। কীভাবে বোঝাই ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে আসার অনুভূতি। রায়হানের গলাটা খানিক ধরে আসে।  
কার লেখা লাইনটা? পরিচিত মনে হচ্ছে? প্রমি পরিবেশ স্বাভাবিক করতেই হয়তো প্রশ্ন করে। রবি বুড়ো? .

.. ও আচ্ছা! ধরতে পেরেছি এবার। চেরি পিকিং করেছ দেখে বুঝি নাই। কতবার ভেবেছিনু থেকে পিক করেছ। কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়/কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়! কিন্তু তোমার প্রণয় তো জানিবে না টাইপ না। জানিয়েছ তো আমাকে! 
প্রমি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে পরিবেশ। রায়হানের হাত ধরে টেনে তোলে। এলোমেলো হাঁটতে থাকে ওরা লেকের পাশ ঘেঁষে। কিন্তু রায়হান বুঝতে পারে প্রমির ক্লান্তি। বুঝতে পারে নিজের অসহায়ত্ব। বুঝতে পারে সে তলিয়ে যাচ্ছে। 
দেখো রায়হান, যা পেয়েছি, সেটাই-বা কম কীসে বলো? তুমি ঝুম গানটা শুনেছ না? কোক স্টুডিওর? ওখানে একটা লাইন আছে দেখবে– সাব নু সামাঝ কে কি কারনা আয়ে। যেখানে আমার নিয়ন্ত্রণ নেই, সেখানে কেন অবগাহন? বাদ দাও, লেটস ফোকাস অন দ্য ডে। আবহাওয়াটা বেশ চমৎকার, না? প্রমির চোখেমুখে এখন আর প্রশ্ন নেই, আছে শুধু শূন্যতা। যেই শূন্যতা কাটিয়ে সে পরিবেশ স্বাভাবিক করতে চাইছে। আর সেই শূন্যতাই রায়হানের ভেতরে একটা গহ্বর তৈরি করছে, যা ক্রমশ তাকে গ্রাস করে ফেলছে।
সন্ধ্যের আগেই ওরা ফিরে আসে রিসোর্টের অনাবিল সৌন্দর্য উপেক্ষা করে। ফিরতে ওদের হতোই। শহরতলি থেকে দূরে গিয়ে ‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়াতে’ চেয়েছিল ওরা, আরও বেশি বাইরে চলে যেতে নয়। কিন্তু বুঝতে পারে ক্রমে ওরা বাইরের পানেই চলেছে একাকী। অমন অস্বস্তি নিয়ে রিসোর্টে থাকতে চায়নি বলেই ফিরে এসেছে।
তারপর থেকে শীতল দূরত্বের মধ্যেও কথা হয়, হঠাৎ করেই– কখনও অপ্রয়োজনীয় কিছু নিয়ে, কখনও অভ্যাসবশত। সম্পর্কটা যেন একটা দোদুল্যমান দড়ির ওপর দাঁড়িয়ে, ভারসাম্য হারালেই তলিয়ে যাবে, অথচ দুজনেই এক অদৃশ্য টানে তা ধরে রাখার চেষ্টা করে।
অবশেষে, একদিন সত্যিই দড়িটা ছিঁড়ে যায়। তুমুল কোনো ঝগড়া নয়, কোনো হঠাৎ সিদ্ধান্তও নয়– একটা ধীরলয়ের দূরত্ব, একটা বুঝতে পারা যে, ওরা একসঙ্গে থাকলে শুধুই ক্লান্তি বাড়বে। তবু শেষ মুহূর্তে রায়হান এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে যায়। একবার শুধু প্রমির চোখের দিকে তাকায়, কিছু বলার চেষ্টা করে। গলা শুকিয়ে আসে, কণ্ঠ ভারী হয়ে ওঠে। তাও বলে– কেমনে প্রকাশি কব কত ভালোবাসি?
প্রমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে, তারপর হালকা হাসে। সেই হাসিতে অভিমান নেই, অভিযোগও নেই– শুধু একরাশ বিষাদ লেগে থাকে। খুব আস্তে বলে– আমাদের গল্পটা কখনও সহজ ছিল না রায়হান, কখনও হবেও না। ইফ অল সাই উইশেস অয়্যার টু কাম ট্রু, হোয়াট উড বি লেফ্ট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড টু ডু? তুমি ভালো থেকো, রায়হান। অনেক রাত একা কেঁদেছে প্রমি, পুরোনো টেক্সট পড়েছে, অ্যালবামের ভেতর রাখা পুরোনো ছবি মুছে ফেলতে গিয়ে থেমে গেছে। কিন্তু ধীরে ধীরে, সময়ের সঙ্গে সম্পর্কের সেই বিষাদমাখা ভারটাকে মেনে নিয়েছে সে।
রায়হান পারেনি। ওর জন্য সম্পর্কটা ফুরোয়নি কখনও। সে ফিরে যেতে চেয়েছে বার কয়েক। কিন্তু টেক্সট লিখে পাঠায়নি, দূর থেকে কেবল দেখেছে প্রমিকে। অনুভব করতে চেয়েছে। সামনে এগিয়ে যেতে চেয়েও পারেনি রায়হান, আবার পেছনেও ফিরতে পারেনি। 
তবু জীবন এগোয়। এগোতেই হতো। কখনও কি আবার কথা হবে ওদের? হয়তো হবে, হয়তো না। কেউ কাউকে পুরোপুরি হারায় না, আবার ফিরে পাওয়ার আশাটাও ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকে। সময়ের স্রোতে সম্পর্কের সংজ্ঞা বদলে যায়। অনুভূতিও। ছেড়ে আছি ভাবলেই বুকের ভিতরের হাহাকারটা জাগে না আর। হয়তো একদিন নতুন কারও পাশে বসবে আলাদাভাবে, হাসবে, হাতে হাত রাখবে, কিন্তু কোথাও একটা কণামাত্র অনুভূতি হয়তো থেকে যাবে পরস্পরের জন্য। আনডিফাইন্ড একটা কণা, একটা আক্ষেপ, অশ্রুবারিচয়। যেটা ঠিক ভালোবাসাও নয়। v
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা

আজ শ্রাবণের ১৬ তারিখ। প্রকৃতির নিয়মে এ মাসে বৃষ্টি বেশি ঝরে। আজও ঢাকার আকাশ মেঘলা। বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ঝুম বৃষ্টি কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। তবে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রয়েছে ভূমিধসের ঝুঁকি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতিভারী বৃষ্টির কারণে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ বাস, রিকশা ও সাধারণ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শনিবারও সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগে অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রবিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বর্ধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার ৬৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মীদের মতের মূল্য নাই, জিএম কা‌দের দল চালান স্ত্রীর কথায় 
  • ব্রেন হ্যাক: স্বাভাবিক হওয়ার পাঁচ উপায় জেনে নিন
  • অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা