শহরে ইউরোটেক্স শ্রমিকদের মানববন্ধন, হুশিয়ারী
Published: 7th, March 2025 GMT
ইউরোটেক্স শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে মিথ্যা মামলা দাবি করে ওই মামলা প্রত্যাহার করতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইউরোটেক্স শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকরা মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারীও দেন । শুক্রবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক নেতা রায়হান শরীফের নেতৃত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধননে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- শ্রমিক নেতা সালাউদ্দীন, মো.
মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, ইউরোটেক্স শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে বেশ কিছু দিন যাবত শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা যায়। প্রশাসনের উদ্যোগে কিছু দাবি মালিক মেনে নিবে বলে কথা দিলেও মালিক সে কথা রাখেনি।
মালিক কোন শ্রমিক ছাঁটাই ও কোন প্রকার মামলা দিয়ে হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাস্তবে মালিক তাই করছে বর্তমানে। তিন শতাধিক অধিক শ্রমিকদের নোটিশ দিয়ে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া, শ্রমিকদের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে শ্রমিকদের হয়রানি করছে মালিক পক্ষ।
প্রশাসন শ্রমিকদের এসব হবে না বলে আশ্বাস দিলেও বর্তমানে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। শ্রমিকদের দাবি মালিক এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে এবং শ্রমিকদের সকল দেনা পাওনা মিটিয়ে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করতে হবে।
নয়তো পূনরায় আবার শ্রমিকদের এই হয়রানির প্রতিবাদে শ্রমিকরা খুব শীঘ্রই কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবে। তখন মালিক ও প্রশাসনের মিথ্যা আশ্বাসে তারা ঘরে ফিরে যাবে না।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র ম ন টস
এছাড়াও পড়ুন:
চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো চক্র ও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন। এই সিন্ডিকেট ও চামড়াশিল্প ধ্বংসের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট রুখো’ শীর্ষক মানববন্ধনে এসব কথা বলা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মির্জা শরিফুল আলম। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম, রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান হীরা, মানবাধিকারকর্মী আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।
কয়েক বছর ধরে কাঁচাচামড়ার দাম কমছে। দাম না পেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নদী বা খালে ফেলে দিয়েছেন কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন– এমন ঘটনাও ঘটছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছর ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ট্যানারি মালিকদের। এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির সময়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানিদাতাদের থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন। সেসব চামড়া আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে তলানিতে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি চক্রান্তে দেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট শিল্পকে সুকৌশলে ধ্বংস করা হয়েছে। এবার আরেক সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। গত বছরের মতো এবারও কম দামে সব ধরনের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। এতে করে গরিব-অসহায় মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।