স্বাভাবিক ও সুস্থ কারা, সেটা এখন বোঝা মুশকিল: আফজাল হোসেন
Published: 8th, March 2025 GMT
অভিনেতা আফজাল হোসেন। অভিনয় ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুকৌশলে তুলে ধরেন।। এবার ফেসবুকে চোর-ডাকাত, সভ্য-অসভ্য ও স্বাভাবিক-অস্বাভাবিক মানুষদের নিয়ে কথা বললেন তিনি।
শনিবার নিজের ফেসবুকে আফজাল হোসেন লিখেছেন, ‘আমরা পুরো জীবনটা দোকানে তুলে দিয়েছি। সবই বিক্রয়যোগ্য। পয়সা দরকার, বাহবা মেলা দরকার। এই বেনিয়া স্বভাবের কারণে স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক, সুস্থ বা অসুস্থ কারা বোঝা এখন মুশকিল।’
এরপর লেখেন, ‘একই গ্লাসে ভালো আর মন্দ ঢেলে ঝাঁকিয়ে শরবত বানিয়ে বাজারজাত করা চলছে সগৌরবে। পান করে কেউ বমি করলে দোষের। বাহবা দেওয়া আর বাহবা পেতে চাওয়াদের এবং যা খুশী তাই করে, বলে জাতে উঠতে চাওয়াদের সংখ্যা বাড়ছে, বেড়েই চলেছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘অসভ্যতার ভয়ে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রেখে নিরাপদে থাকা শ্রেয়তর ভাবা হয়। চোর, ডাকাত, মূর্খদের গলায় যে জাতি মালা পরিয়ে পরিয়ে কৃতার্থ হয়েছে- একসময় সে মানসিকতায় অসভ্যের গলায় মালা তো উঠবেই, মিছিল তো হবেই অসভ্যতার পক্ষে।’
শেষে তিনি লিখেছেন, ‘কে প্রশ্ন করবে, এর শেষ কোথায়? প্রশ্ন করাও দোষের কি না ভেবে দেখতে হয়। মানুষ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেলে নিশ্চয়ই সবকিছুর শেষ হবে।’
এবার ঈদে দেখা যাবে আফজাল হোসেন অভিনীত ‘দেয়ালের অন্তরালে’ নাটক। এতে তার বিপরীতে আছেন সাদিয়া ইসলাম মৌ। ফারিয়া হোসেনের লেখা ঈদের জন্য নাটকটি নির্মাণ করেছেন চয়নিকা চৌধুরী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফজ ল হ স ন আফজ ল হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।