বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীদের অগ্রগতি হয়েছে। তারা আরও এগিয়ে যাবে। তবে নারীকে নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আজ শনিবার জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ। ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহনাজ বেগম পলির সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন।

এ বছরের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান হাফিজ বলেন, নারীদেরকে আমরা সামগ্রিকভাবে বঞ্চিত রাখি। নারী নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, এজন্য পুরুষরাই দায়ী। নারীদের আরও সচেতন হতে হবে। সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে যেন নারী দিবস পালন করতে না হয়।

কাজী রওনাক হোসেন বলেন, শুধু নারী দিবস পালন করলেই হবে না, নারীদের সর্বক্ষেত্রে নিজেদেরকে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের নিয়ে শুধু লোক দেখানো কথা বললে হবে না, তাদের ব্যাপারে আমাদের আন্তরিক হতে হবে।

অনুষ্ঠানে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজও সত্য সুন্দর’ রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য শিরিন সুলতানা, পিআইবির অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক পারভীন সুলতানা রাব্বী, উল্কা হোসেন, মাহাশরুপা টুবন, দেওয়ান মাসুদা সুলতানা প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ