Samakal:
2025-08-01@02:14:29 GMT

ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প

Published: 8th, March 2025 GMT

ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প

কখনও কখনও একটি সঠিক সিদ্ধান্ত জীবন বদলে দিতে পারে। শম্পা আক্তার ও তাঁর পরিবারের গল্পটা ঠিক এমনই। হঠাৎ একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামী জাকির হোসেন মারা যান। জাকির হোসেন ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল তাঁর। জাকির হোসেনকে হারিয়ে দুই সন্তান নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েন শম্পা আক্তার।
সন্তানদের নিয়ে কী করবেন, কীভাবে পরিবারের হাল ধরবেন বুঝতে পারছিলেন না তিনি। তবে জাকির হোসেন জীবদ্দশায় একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তা হলো তিনি ২০ লাখ টাকার একটি জীবন বীমা পলিসি করেছিলেন। ৩২ হাজার টাকা প্রিমিয়াম দিতে পেরেছিলেন তিনি। এরপরেও মাত্র তিন দিনের মধ্যেই তাঁকে বীমা পলিসির পুরো ২০ লাখ টাকাই ‍পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি। এটিই হয়ে ওঠে শম্পা আক্তারের নতুন পথচলা শুরুর গল্প।
জাকির হোসেনের জমি ও দোকান ছিল। দোকানটি বন্ধক রেখেছিলেন তিনি। শম্পা আক্তার বলেন, ‘ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ টাকা দিয়ে দোকানটা ছাড়িয়ে নিয়েছি। ওটা থেকে মাসে মাসে ভাড়া পাই। বাকি টাকা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ফিক্সড করে রেখে দিয়েছি।’ এভাবেই ইন্স্যুরেন্সের পাওয়া টাকা থেকে শম্পা আক্তার পরিবারের জন্য নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস তৈরির পাশাপাশি সন্তানদের ভবিষ্যৎ ও শিক্ষা নিশ্চিত করেন।
জাকির হোসেনের পরিবারে এখন অনিশ্চয়তার কালো মেঘ নেই। সেখানে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। দুই সন্তান নিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন শম্পা আক্তার। নতুন স্বপ্ন নিয়ে হাল ধরেছেন জীবনের। সবকিছু সম্ভব হয়েছে জীবদ্দশায় স্বামী জাকির হোসেনের নেওয়া সেই সিদ্ধান্তের কারণে; যা তাঁর দুই সন্তান ও স্ত্রীকে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশে বীমা কোম্পানি দ্বারা গ্রাহক হয়রানির ঘটনা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। এমনকি বীমাদাবি নিষ্পত্তির সময় গ্রাহকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ঘটনা একবারেই যে নেই তা নয়। শম্পা আক্তারের অভিজ্ঞতা পুরোটাই আলাদা। কারণ, তাঁর স্বামী জাকির হোসেন এই বীমা পলিসিটি নিয়েছিলেন গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কাছ থেকে। ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে দেশের বীমা খাতে ভালো অবস্থান রয়েছে তাদের। প্রতিশ্রুতি রক্ষার অসংখ্য গল্প রয়েছে বলেও গার্ডিয়ান লাইফের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বর্তমানে ১ কোটি ২০ লাখের অধিক মানুষকে আর্থিক সুরক্ষা দিয়ে চলেছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন স য র ন স পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা

আজ শ্রাবণের ১৬ তারিখ। প্রকৃতির নিয়মে এ মাসে বৃষ্টি বেশি ঝরে। আজও ঢাকার আকাশ মেঘলা। বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ঝুম বৃষ্টি কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। তবে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রয়েছে ভূমিধসের ঝুঁকি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতিভারী বৃষ্টির কারণে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ বাস, রিকশা ও সাধারণ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শনিবারও সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগে অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রবিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বর্ধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার ৬৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা