নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মো. নুরুজ্জামান (৫৭) নামের এক ব্যক্তিকে গত শুক্রবার এলাকার কিছু লোক চড়–থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেন। তবে ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ ওই লোককে গ্রেপ্তার করে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা। ৪ মার্চ উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার শিশু স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিশুটি ৪ মার্চ বিকেলে বাড়ির পাশের মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা সবাই চলে গেলেও নুরুজ্জামান ওই শিশুকে কৌশলে পাশের একটি শৌচাগারে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটি তার এক স্বজনকে ঘটনাটি জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

সূত্র জানায়, এর আগেও নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় কিছু লোক অভিযুক্ত নুরুজ্জামানকে চড়–থাপ্পড় দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেন। পরে থানা–পুলিশের নজরে এলে তারা গতকাল সন্ধ্যায় নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শাহীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নুরুজ্জামান আট বছরের একটি ছেলেশিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে শিশুটির পরিবার থানায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। তাই তাঁরা নুরুজ্জামানকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠান। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ