রূপগঞ্জে বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট
Published: 11th, March 2025 GMT
রূপগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৮জনকে নামীয়সহ অজ্ঞাত আরো ১২জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকার কলমদার মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলামের বাড়ির সীমানা নিয়ে জাকির ভুঁইয়াগংদের সাথে বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৯ মার্চ সকালে রামদা, ছুরি, বটি, লাঠিসোটা নিয়ে শফিকুল ইসলামের বাড়িঘরে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়।
এ সময় জাকির ভুঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম, সালাউদ্দিন মিয়া, শাহজাহান মিয়া, রেজিয়া বেগম, নার্গিস আক্তার, শিউলি আক্তার, নুর জাহান বেগমসহ অজ্ঞাত আরো ১২জন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসতঘর, সুকেছ, টিনের বেড়া ভাংচুর করে ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে গেছে। শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার শফিকুল ইসলাম জানান, বাড়ির সীমানা সঠিক থাকা সত্ত্বেও পাশের বাড়ির জাকির হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে জোরপূর্বক জায়গা দখল নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলার ঘটনা ভিডিও ধারণ করা হলে সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে সালাউদ্দিনের দুই হাতে দুটি রামদা নিয়ে গালিগালাজ ও দৌড়ে ত্যাড়ে আসছেন। তখন মামলা না করার জন্যও হুমকি দিচ্ছেন। মামলা করা হলে পরিবারের সবাইকে টুকরো টুকরো করে লাশের খন্ড শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়ার কথাও বলেন।
অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, বহুদিন বলার পরও শফিকুল তাদের টিনের বেড়া খুলে না দেয়ায় তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়ির সীমানা নিয়ে কিছুটা জটিলতা আছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।