‘নিপীড়ন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ হবে’
Published: 11th, March 2025 GMT
সাম্য, ন্যায়, মানবিক মর্যাদার জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু আজ নারী ও শিশুর প্রতি জঘন্য সহিংসতায় সমস্ত মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত। প্রয়োজনে এই ধর্ষক আর নিপীড়কদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে আরেকবার যুদ্ধ হবে। আর এই যুদ্ধ হবে ন্যায়ের যুদ্ধ, সম্প্রীতির যুদ্ধ, সম–অধিকারের যুদ্ধ।
শিশু ও নারীর প্রতি চলমান সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। এতে পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি শাহীন রেজার সঞ্চালনায় প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশ নেন কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
ধর্ষক ও নিপীড়কদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি নিয়ে বক্তব্য দেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, কবি শহীদুল্লাহ ফারায়জি, কবি শাহীন রেজা, কবি শ্যামল জাকারিয়াসহ অনেকে।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করব, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্ত দুষ্কৃতকারী, অন্যায়কারী এবং স্বৈরাচারের পক্ষের নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। যদি আমরা তা না করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা কোনো দিনও প্রতিফলিত হবে না। আমরা জাতীয় কবিতা পরিষদের কবিরা এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকতে চাই।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।