রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ সেশনের সব ইউনিটে (A, B ও C) আবেদনকারীদের প্রথম পছন্দক্রম অনুযায়ী, আঞ্চলিক কেন্দ্রে তাঁদের ভর্তি পরীক্ষার আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে। A ও C ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত তারিখগুলোয় অনুষ্ঠিত হবে। তবে পূর্বনির্ধারিত এক শিফটের পরিবর্তে এখন তা দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দ্বিতীয় শিফটে বেলা ২:৩০টা থেকে ৩:৩০টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। B ইউনিটের পরীক্ষা পূর্বের তারিখ ও সময় ঠিক রেখে একটিমাত্র শিফটেই অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুনকানাডার শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো৪৮ মিনিট আগে

আজ বুধবার (১২ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা–সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব ইউনিটের (A, B ও C) ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ১৩ মার্চ বিকেল ৪টার পর নতুন রোল ও কেন্দ্রসহ নতুন প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে। ফলে তাঁদের আগের সব ইউনিটের ইস্যুকৃত প্রাথমিক প্রবেশপত্রগুলো বাতিল বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুনদেশের আরও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি হলো১১ মার্চ ২০২৫

উল্লেখ্য, ভবন ও কক্ষের তথ্যসহ বিস্তারিত ঠিকানা উল্লেখপূর্বক চূড়ান্ত প্রবেশপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তিন দিন আগে ডাউনলোড করা যাবে। এখানে আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন, পরীক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে পরীক্ষা দিতে হবে এবং পদ্ধতিগত কারণে এক কেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত প্রার্থীর পরীক্ষা অন্য কেন্দ্র বা কক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। বিধায় পরীক্ষার্থীর জন্য চূড়ান্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে কেন্দ্র ও কক্ষ জেনে নেওয়া আবশ্যক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ইউন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষমতা সীমিত করতে চান মার্কিন সিনেটর

এক মার্কিন ডেমোক্র্যাট সিনেটর আজ সোমবার একটি আইন প্রস্তাব করেছেন, যাতে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে না পারেন। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

ভার্জিনিয়ার সিনেটর টিম কেইন দীর্ঘদিন ধরেই হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা আবার কংগ্রেসের হাতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে আসছেন।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, ২০২০ সালে, সিনেটর কেইন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় ট্রাম্পের ক্ষমতা সীমিত করার জন্য একই ধরনের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। সেই প্রস্তাব সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ—উভয় কক্ষেই পাস হয় এবং কিছু রিপাবলিকান সদস্যের সমর্থনও পেয়েছিল।

তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভেটো ঠেকানোর মতো প্রয়োজনীয় ভোট পাওয়া যায়নি বলে সেটি কার্যকর হয়নি।

আরও পড়ুনআরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন১৯ ঘণ্টা আগে

কেইন বলেছেন, তাঁর সর্বশেষ যুদ্ধক্ষমতাসম্পর্কিত প্রস্তাবটি এ বিষয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরে যে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণা করার একমাত্র ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, প্রেসিডেন্টের হাতে নয়। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অবশ্যই যুদ্ধ ঘোষণা বা সামরিক শক্তি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট অনুমোদন থাকতে হবে।

এক বিবৃতিতে সিনেটর কেইন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করা উপযুক্ত নয়, যদি না সেই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য একেবারেই অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটি অনন্তকাল চলা সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে।’

মার্কিন আইনে যুদ্ধক্ষমতাসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো ‘প্রিভিলেজড’ হিসেবে বিবেচিত হয়, অর্থাৎ সিনেট বাধ্য থাকবে বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় আনতে এবং ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে।

গত শুক্রবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ইরানে হামলা চালায়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংস করে দেওয়া। অপর দিকে, ইরান, যাদের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে এর জবাব দেয়।

উভয় দেশই তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকেরা নিহত ও আহত হচ্ছেন। এতে কানাডায় চলমান বিশ্বনেতাদের বৈঠকে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে যে এই দুই পুরোনো শত্রুর মধ্যে চলমান সবচেয়ে বড় লড়াই বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।

ট্রাম্প একদিকে ইসরায়েলের হামলাকে প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে ইরানের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলায় অংশ নিয়েছে। তবে তিনি তেহরানকে সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধের পরিধি বাড়ানো উচিত হবে না।

গতকাল রোববার কানাডায় সম্মেলনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি পরিস্থিতি শান্ত করতে কী করছেন? তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি একটা সমঝোতা হবে। আমার মনে হয় এখন সমঝোতার সময় এসেছে। তবে কখনো কখনো ওদের নিজের মধ্যে লড়ে নিতে হয়।’

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে ‘নো কিংস’ ব্যানারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ