রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
Published: 12th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ সেশনের সব ইউনিটে (A, B ও C) আবেদনকারীদের প্রথম পছন্দক্রম অনুযায়ী, আঞ্চলিক কেন্দ্রে তাঁদের ভর্তি পরীক্ষার আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে। A ও C ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত তারিখগুলোয় অনুষ্ঠিত হবে। তবে পূর্বনির্ধারিত এক শিফটের পরিবর্তে এখন তা দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দ্বিতীয় শিফটে বেলা ২:৩০টা থেকে ৩:৩০টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। B ইউনিটের পরীক্ষা পূর্বের তারিখ ও সময় ঠিক রেখে একটিমাত্র শিফটেই অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনকানাডার শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো৪৮ মিনিট আগেআজ বুধবার (১২ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা–সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব ইউনিটের (A, B ও C) ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ১৩ মার্চ বিকেল ৪টার পর নতুন রোল ও কেন্দ্রসহ নতুন প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে। ফলে তাঁদের আগের সব ইউনিটের ইস্যুকৃত প্রাথমিক প্রবেশপত্রগুলো বাতিল বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুনদেশের আরও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি হলো১১ মার্চ ২০২৫উল্লেখ্য, ভবন ও কক্ষের তথ্যসহ বিস্তারিত ঠিকানা উল্লেখপূর্বক চূড়ান্ত প্রবেশপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তিন দিন আগে ডাউনলোড করা যাবে। এখানে আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন, পরীক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে পরীক্ষা দিতে হবে এবং পদ্ধতিগত কারণে এক কেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত প্রার্থীর পরীক্ষা অন্য কেন্দ্র বা কক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। বিধায় পরীক্ষার্থীর জন্য চূড়ান্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে কেন্দ্র ও কক্ষ জেনে নেওয়া আবশ্যক।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্ব আরোপ
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার দুজনকে করা এ ফোন কলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া দুই
ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কো রুবিও বলেন, তিনি পেহেলগাম হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে তিনি আরও বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার আগে সতর্ক থাকে, কারণ এখনও পর্যন্ত ভারত এই হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপে রুবিও- ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ভারতের উস্কানিমূলক আচরণ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতের ওপর দায়িত্বশীল আচরণ ও ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র-এএফপি