শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা
Published: 12th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে সাদ আল আফনান নামের এক কিশোরকে হত্যার মামলায় মো. সোবহান নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার মো.
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত বছরের ২৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সদস্য ছিলেন মো. সোবহান। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। হঠাৎ তাঁকে লক্ষ্মীপুরে দেখতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোন্নাফ বলেন, শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যার ঘটনায় ওই শিক্ষকের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাই তাঁকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও দুপুরে জেলা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনানসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। গুলি ও হামলায় আহত হন আরও দুই শতাধিক লোক। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের করা মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
আফনান লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গতবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই এলাকার মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে বিবাহবিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় লাউখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পর সন্তানদের রেখে গোপনে বিয়ে করে ঘর ছেড়েছিলেন এক নারী। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় এক মাস পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ ঘটনার চার দিনের মাথায় বাড়ির পাশের লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম তানজিনা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানজিনার দ্বিতীয় স্বামী মিনাল হোসেনের বাবা দিলু হোসেনকে (৫৫) হেফাজতে নিয়েছে আটোয়ারী থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তানজিনা আক্তারের প্রথম স্বামী মজিবর রহমান প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুটি ছেলে আছে। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় যুবক মিনাল হোসেনকে (২৭) গোপনে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। এর পর থেকেই মিনালকে ছেড়ে দিতে তানজিনার ওপর চাপ দিতে থাকে মিনালের পরিবার। গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মিনালকে এলাকায় দেখা যায়নি।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে ধামোর-মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেতে কয়েকজন লাউ তুলতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। এ সময় স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি তানজিনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বারঘাটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও আটোয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।