লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে সাদ আল আফনান নামের এক কিশোরকে হত্যার মামলায় মো. সোবহান নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার মো.

সোবহান লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত। পুলিশ জানিয়েছে, সাদ আল আফনানকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁকে হত্যা মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত বছরের ২৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সদস্য ছিলেন মো. সোবহান। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। হঠাৎ তাঁকে লক্ষ্মীপুরে দেখতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোন্নাফ বলেন, শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যার ঘটনায় ওই শিক্ষকের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাই তাঁকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও দুপুরে জেলা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনানসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। গুলি ও হামলায় আহত হন আরও দুই শতাধিক লোক। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের করা মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

আফনান লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গতবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই এলাকার মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির

চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।

আরো পড়ুন:

জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ

এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।

তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।

বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।

শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।

গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ