‘হারল্যান ঈদের খুশি নতুন স্কুটিতে হবে বেশি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনে মেগা পুরস্কার হিসেবে স্কুটি জিতেছেন খুলনার উম্মে কুলসুম। খুলনা সদরের হারল্যান স্টোর থেকে মোট এক হাজার পাঁছ টাকা দামের নিওর অ্যাকোয়া স্প্ল্যাশ সানস্ক্রিন এসপিএফ ৫০ ও লিলি বেলি পার্লস হালাল বিউটি সোপ কিনে তিনি এ পুরস্কার জেতেন।

সম্প্রতি খুলনা সদরের হারল্যান স্টোরের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে স্কুটির চাবি তুলে দেন রিমার্ক হারল্যানের নির্বাহী পরিচালক অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন ও চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এ সময় রিমার্ক-হারল্যানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার পাওয়া নিয়ে উম্মে কুলসুম বলেন, ‘স্কুটি জিততে পারা আমার জন্য সত্যি এক দারুণ চমক! হারল্যান স্টোরকে ধন্যবাদ।’

নিওর ও লিলি ব্র্যান্ডের মূল কোম্পানি রিমার্ক-হারল্যানের স্কিনকেয়ার ক্যাটাগরির প্রধান খায়রুল বাশার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য গর্বের যে নিওর ও লিলির পণ্য দেশের ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেছে।

হারল্যান স্টোরের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস এ ক্যাম্পেইন নিয়ে বলেন, অথেনটিক ও লাক্সারি কসমেটিকস ভোক্তাদের জন্য সহজলভ্য করতে হারল্যান স্টোর বদ্ধপরিকর।

সারা দেশে দেড় শতাধিক হারল্যান স্টোর আউটলেট ও হারল্যান স্টোর ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট এবং herlan.

com– এই ওয়েবসাইট থেকে নিওর, লিলি, সিওডিল, ব্লেইজ ও’ স্কিন, লিটল ওয়ান, স্কিন মিন্ট, ক্যাভোটিনসহ অথেনটিক কালার কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার, বেবি কেয়ার, হোম কেয়ার ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্যের মধ্য থেকে এক হাজার টাকার পণ্য কিনে যে কেউই এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে পারেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ