নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল সারাদেশ। বিশেষ করে ছোট্ট শিশু আছিয়ার মৃত্যুর পর সকল প্লাটফর্মেই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের মত শোবিজাঙ্গনের তারকারাও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা।

স্বাগতা জানালেন তার জীবনের বাস্তবতার কথা। তার মতে, পরিচিতি এমন অনেকেই ধর্ষকের বিচার চাইছেন, যারা নিজেরাই কাজের বিনিময়ে তাকে বিছানায় শোয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।

শুক্রবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে স্বাগতা লিখেছেন, ‘আমার নিউজফিডে প্রচুর পুরুষকে দেখছি ধর্ষকের বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই আমাকে কাজের বিনিময়ে শোয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে। রাজি হইনি বলে চিরতরে কাজের সুযোগও বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে তারাও কি ধর্ষক নয়?’

অভিনেত্রীর সেই পোস্টে একজন লিখেছেন, ‘তারা তোমার অনুমতি চেয়েছে, জোর জবরদস্তি করেনি ইচ্ছার বিরুদ্ধে। তোমার যেমন ‘না’ বলার স্বাধীনতা আছে, তাদেরও তেমন কাজে ‘না’ নেওয়ার স্বাধীনতা আছে।’

স্বাগতা লিখেছেন, ‘এটা হলো সিন্ডিকেট করে কাজ বন্ধ করা। যেন আমি বাধ্য হই ইয়েস বলতে। টেকনিকালি ধর্ষণ, যদি কাজ করতেই হয় তাহলে রাজি হতেই হবে।’

তবে কারা কাজের বিনিময়ে আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়েছিল, তাদের নাম ফাঁস করেননি এই অভিনেত্রী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব গত স ব গত

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ