২০২৩ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
Published: 15th, March 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ হতে কার্যকর সিলেবাস অনুযায়ী) পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৩ মার্চে এ পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করা হয়। আগামী ২৪ এপ্রিল শুরু হবে পরীক্ষা। ওই দিন বাংলা (২৩১০০১), ইংরেজি (২৩১১০১), আরবী (২৩১২০১), সংস্কৃত (২৩১৩০১), ইতিহাস (২৩১৫০১), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (২৩১৬০১), দর্শন (২৩১৭০১), ইসলামী শিক্ষা (২৩১৮০১), গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান (২৩৩৮০১), রাষ্ট্রবিজ্ঞান (২৩১৯০১), সমাজবিজ্ঞান (২৩২০০১), সমাজকর্ম (২৩২১০১), অর্থনীতি (২৩২২০১), নৃ-বিজ্ঞান (২৩৪০০১), মার্কেটিং (২৩২৩০১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং (২৩২৪০১), হিসাববিজ্ঞান(২৩২৫০১), ব্যবস্থাপনা (২৩২৬০১), পদার্থবিদ্যা (২৩২৭০১), রসায়ন (২৩২৮০১), প্রাণ-রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান(২৩২৯০১), উদ্ভিদবিজ্ঞান (২৩৩০০১), প্রাণিবিজ্ঞান (২৩৩১০১), ভূগোল ও পরিবেশ (২৩৩২০১), মৃত্তিকাবিজ্ঞান (২৩৩৩০১), মনোবিজ্ঞান (২৩৩৪০১), গার্হস্থ্য অর্থনীতি(২৩৩৫০১), পরিসংখ্যান (২৩৩৬০১), গণিত (২৩৩৭০১), পরিবেশ বিজ্ঞান (২৩৪৪০১) ও সঙ্গীত ( ২৩৪৫০১)। পরীক্ষা শেষ হবে ২৬ মে। ওই দিন সঙ্গীত (২৩৪৫২৫) বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণ, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থান, করুন আবেদন১৪ মার্চ ২০২৫এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবেন। এ পরীক্ষার কোড-২২০৩। পরীক্ষা প্রতিদিন বেলা ১ টা থেকে শুরু হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা চলবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় যথাসময় জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব কলেজে যোগাযোগ করে ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় জেনে নিতে হবে।
*রুটিন দেখুন এখানে
আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়১৩ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা