জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ হতে কার্যকর সিলেবাস অনুযায়ী) পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৩ মার্চে এ পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করা হয়। আগামী ২৪ এপ্রিল শুরু হবে পরীক্ষা। ওই দিন বাংলা (২৩১০০১), ইংরেজি (২৩১১০১), আরবী (২৩১২০১), সংস্কৃত (২৩১৩০১), ইতিহাস (২৩১৫০১), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (২৩১৬০১), দর্শন (২৩১৭০১), ইসলামী শিক্ষা (২৩১৮০১), গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান (২৩৩৮০১), রাষ্ট্রবিজ্ঞান (২৩১৯০১), সমাজবিজ্ঞান (২৩২০০১), সমাজকর্ম (২৩২১০১), অর্থনীতি (২৩২২০১), নৃ-বিজ্ঞান (২৩৪০০১), মার্কেটিং (২৩২৩০১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং (২৩২৪০১), হিসাববিজ্ঞান(২৩২৫০১), ব্যবস্থাপনা (২৩২৬০১), পদার্থবিদ্যা (২৩২৭০১), রসায়ন (২৩২৮০১), প্রাণ-রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান(২৩২৯০১), উদ্ভিদবিজ্ঞান (২৩৩০০১), প্রাণিবিজ্ঞান (২৩৩১০১), ভূগোল ও পরিবেশ (২৩৩২০১), মৃত্তিকাবিজ্ঞান (২৩৩৩০১), মনোবিজ্ঞান (২৩৩৪০১), গার্হস্থ্য অর্থনীতি(২৩৩৫০১), পরিসংখ্যান (২৩৩৬০১), গণিত (২৩৩৭০১), পরিবেশ বিজ্ঞান (২৩৪৪০১) ও সঙ্গীত ( ২৩৪৫০১)। পরীক্ষা শেষ হবে ২৬ মে। ওই দিন সঙ্গীত (২৩৪৫২৫) বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণ, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থান, করুন আবেদন১৪ মার্চ ২০২৫

এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবেন। এ পরীক্ষার কোড-২২০৩। পরীক্ষা প্রতিদিন বেলা ১ টা থেকে শুরু হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা চলবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় যথাসময় জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব কলেজে যোগাযোগ করে ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় জেনে নিতে হবে।

*রুটিন দেখুন এখানে

আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়১৩ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ

২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি উত্থাপনের কথা রয়েছে। বৈঠকে অনুমোদন হলে চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় একসঙ্গে দুই কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ গতকাল শুক্রবার তার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকের এ তারিখ নির্ধারণসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আইএমএফের এ বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার (রিভিউ) প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পেয়ে যাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে হতে পারে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ বলেছিল, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে এ ঋণ কর্মসূচি। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া—মূলত এ তিন কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিলসহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও তা আর পাওয়া যায়নি। আইএমএফের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত। প্রায় প্রতিবছর ওয়াশিংটনসহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে বড় ধরনের তুষারপাত হয়। গত বছরও তাই হয়েছে। অতিমাত্রার বরফের কারণে অচল হয়ে যায় জনজীবন। মার্কিন প্রশাসন সতর্কবার্তা জারি করে। তুষারপাতের কারণে আইএমএফসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল অনেক দিন।

পরে আইএমএফের পক্ষ থেকে প্রথমে এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও পরে মার্চে পর্ষদ বৈঠকের কথা বলা হয়। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি দল পর্যালোচনা করতে ঢাকায় আসে দুই সপ্তাহের জন্য। এর মধ্যে শর্ত পরিপালন নিয়ে দর–কষাকষিতে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তখন দর-কষাকষি হচ্ছিল মূলত মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা নিয়ে। আইএমএফ তা চাইলেও করতে চাইছিল না সরকার।

সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছায় ও বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত পর্ষদ বৈঠকে অনুমোদন হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মাথায় আইএমএফ অর্থ ছাড় করে দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাকিবের যে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তামিম
  • ‘আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম’—তামিমের আবেগঘন স্বীকার
  • ১৫ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে তিন গুণ
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা
  • শাহরুখের পারিশ্রমিক ৪২৩ কোটি টাকা!
  • অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি
  • ইরানকে পরমাণু জগতে ঠেলে দিয়েছে ইসরায়েলই
  • আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
  • আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ
  • সামরিক শক্তিতে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে কে এগিয়ে