বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউ) শিক্ষক অনিন্দিতা দত্তকে হেনস্তার চেষ্টার ঘটনায় শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আজ সোমবার তিনি নিজেই এই জিডি করেন।

অনিন্দিতা দত্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে। তিনি রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। এ ঘটনার পেছনে বাবা প্রাণ গোপাল দত্তের নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার চান্দিনার বাসিন্দা সজল কুমার করের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনিন্দিতা দত্ত।

জিডিতে বলা হয়, গতকাল রোববার দুপুরে সজল কুমার কর নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে কতিপয় দুষ্কৃতকারী অনিন্দিতাকে তাঁর বিভাগের নিচতলার পাশের সড়কে দাঁড় করিয়ে তাঁদের সঙ্গে যেতে বলেন, অন্যথায় গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। এমন অবস্থায় তিনি দ্রুত নিজ বিভাগে প্রবেশ করেন। সহকর্মী শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের সহায়তায় তিনি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে অবস্থান নেন। সহকর্মীরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরসহ অন্য কর্মকর্তারা আসেন। এ সময় অনেক বহিরাগত সেখানে এসে মব সৃষ্টি করে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সেনাবাহিনী তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।

অনিন্দিতা দত্ত গতকাল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, সজল কর এবং একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের সেগুনবাগিচা ও শাহবাগ থানার নেতারা ঘটনার পেছনে আছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে সজল কর তাঁদের পরিবারকে নানাভাবে নাজেহাল করার পাশাপাশি অর্থ দাবি করে আসছেন।

সজল কর পেশায় একজন আয়কর আইনজীবী। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, অনিন্দিতা তাঁকে যেতে বলায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিংয়ে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় সেগুনবাগিচা এলাকার একজনকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। তবে ওই ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় সজল করের জানা নেই।

তবে অনিন্দিতা বলেন, সজল করকে তিনি কোনো দিন দেখেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথাও তাঁকে বলেননি।

সজল করের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা এলাকায়। ওই এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন প্রাণ গোপাল দত্ত। সজল কর প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি প্রাণ গোপাল দত্তের নামে পাঁচটি মামলা করেছেন। কোনোটিতে অনিন্দিতা দত্তের নামও আছে। সমঝোতার ব্যাপারে কথা বলার জন্য অনিন্দিতা দত্ত তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেছিলেন। তবে মানুষ জড়ো করা বা মব তৈরির ব্যাপারে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় অনিন্দিতা দত্ত লোক পাঠিয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ক অন ন দ ত সজল ক

এছাড়াও পড়ুন:

তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন

নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।

এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’

মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মোটরসাইকেল আমার ছেলেটার জীবন নিল’
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন