হেমা মালিনীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ গড়াল থানা পর্যন্ত
Published: 18th, March 2025 GMT
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে বিপাকে অভিনেত্রী এবং বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। গত সপ্তাহে দোলের সময় পুরীর মন্দিরে যান তিনি। ‘ড্রিম গার্ল’-এর সঙ্গে ছিলেন পুরীর বিজেপি সাংসদ এবং জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত বেরা। কিন্তু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে হেমা মালিনীর নামে পুরীর সিংহদ্বার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে জগন্নাথ সেনা দল।
এই ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হেমা মালিনীর পুরীর মন্দিরে পূজা দেওয়া একেবারেই নিয়ম বহির্ভূত। অভিনেত্রী মুসলিম অভিনেতাকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। হেমা মালিনী পুরীর মন্দিরে আসায় সনাতন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে হেমা মালিনীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে বলা আছে, ১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট মুম্বাইয়ের ফয়জাবাদের এক মসজিদে গিয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছেন হেমা মালিনী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। তখন ধর্মেন্দ্র বিবাহিত ছিলেন। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কউরের সঙ্গে তখনও বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি ধর্মেন্দ্রের। বিবাহ বিচ্ছেদের আগেই হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন তিনি।
হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী স্ত্রী থাকাকালীন দ্বিতীয় বিবাহ করা যায় না। সেই কারণে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র। তখন হেমামালিনীকেও ধর্মান্তরিত হতে হয়। জগন্নাথ সেনা দলের হেমা মালিনীকে জগন্নাথ মন্দিরে পূজা দেওয়ায় আপত্তি জানানোর কারণ এটাই। যদিও এই বিষয়ে হেমামালিনী কোনও মন্তব্য করেননি। সূত্র: এই সময় ও আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষমতা সীমিত করতে চান মার্কিন সিনেটর
এক মার্কিন ডেমোক্র্যাট সিনেটর আজ সোমবার একটি আইন প্রস্তাব করেছেন, যাতে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে না পারেন। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
ভার্জিনিয়ার সিনেটর টিম কেইন দীর্ঘদিন ধরেই হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা আবার কংগ্রেসের হাতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে আসছেন।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, ২০২০ সালে, সিনেটর কেইন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় ট্রাম্পের ক্ষমতা সীমিত করার জন্য একই ধরনের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। সেই প্রস্তাব সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ—উভয় কক্ষেই পাস হয় এবং কিছু রিপাবলিকান সদস্যের সমর্থনও পেয়েছিল।
তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভেটো ঠেকানোর মতো প্রয়োজনীয় ভোট পাওয়া যায়নি বলে সেটি কার্যকর হয়নি।
আরও পড়ুনআরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন১৯ ঘণ্টা আগেকেইন বলেছেন, তাঁর সর্বশেষ যুদ্ধক্ষমতাসম্পর্কিত প্রস্তাবটি এ বিষয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরে যে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণা করার একমাত্র ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, প্রেসিডেন্টের হাতে নয়। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অবশ্যই যুদ্ধ ঘোষণা বা সামরিক শক্তি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট অনুমোদন থাকতে হবে।
এক বিবৃতিতে সিনেটর কেইন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করা উপযুক্ত নয়, যদি না সেই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য একেবারেই অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটি অনন্তকাল চলা সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে।’
মার্কিন আইনে যুদ্ধক্ষমতাসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো ‘প্রিভিলেজড’ হিসেবে বিবেচিত হয়, অর্থাৎ সিনেট বাধ্য থাকবে বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় আনতে এবং ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে।
গত শুক্রবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ইরানে হামলা চালায়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংস করে দেওয়া। অপর দিকে, ইরান, যাদের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে এর জবাব দেয়।
উভয় দেশই তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকেরা নিহত ও আহত হচ্ছেন। এতে কানাডায় চলমান বিশ্বনেতাদের বৈঠকে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে যে এই দুই পুরোনো শত্রুর মধ্যে চলমান সবচেয়ে বড় লড়াই বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
ট্রাম্প একদিকে ইসরায়েলের হামলাকে প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে ইরানের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলায় অংশ নিয়েছে। তবে তিনি তেহরানকে সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধের পরিধি বাড়ানো উচিত হবে না।
গতকাল রোববার কানাডায় সম্মেলনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি পরিস্থিতি শান্ত করতে কী করছেন? তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি একটা সমঝোতা হবে। আমার মনে হয় এখন সমঝোতার সময় এসেছে। তবে কখনো কখনো ওদের নিজের মধ্যে লড়ে নিতে হয়।’
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে ‘নো কিংস’ ব্যানারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ১৫ জুন ২০২৫