হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক: মার্কিন সিনেটরকে প্রধান উপদেষ্টা
Published: 18th, March 2025 GMT
অগাস্টের পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর সংঘটিত আক্রমণ ধর্মীয় নয় বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি পিটার্সকে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
এসব ক্ষেত্রে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সফররত গ্যারি পিটার্স মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে গ্যারি পিটার্স তার নির্বাচনি এলাকা মিশিগানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের মধ্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
সেখানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অনেক ভুল তথ্য ছড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। তাদের আলাপে বাংলাদেশের নির্বাচন এবং সংস্কার প্রসঙ্গও উঠে আসে।
ড.
যেসব সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, তাদের সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেই জুলাই চার্টারে সবাই স্বাক্ষর করবেন বলেও প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন।
কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর করে তোলা যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা করেছেন সিনেটর গ্যারি পিটার্স ও ড. ইউনূস।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।