মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের কাছে ঢাকায় দূতাবাস স্থাপনের অনুরোধ
Published: 20th, March 2025 GMT
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের কাছে ঢাকায় দূতাবাস স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
মেক্সিকো সিটির ন্যাশনাল প্যালেসে দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে দূতাবাস স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) মেক্সিকোর বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান।
এছাড়া, তিনি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আন্তরিক আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি উল্লেখ করেন চলতি বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে সরাসরি বিনিময় বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের কাছে ঢাকায় একটি মেক্সিকান দূতাবাস স্থাপনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।”
প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং তার কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনে মেক্সিকো সরকারের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে বন্ধুত্ব আরো গভীর করার এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা শক্তিশালী করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী ঐতিহাসিক ন্যাশনাল প্যালেস পরিদর্শন করেন, যা মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের দপ্তর ও সরকারি বাসভবন।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন র ধ শ ইনব
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?