Risingbd:
2025-06-16@00:40:09 GMT

মুরগির সঙ্গে বেড়েছে চালের দাম

Published: 21st, March 2025 GMT

মুরগির সঙ্গে বেড়েছে চালের দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চাল ও ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও মানভেদে গড়ে চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম ও চাহিদা বেশি থাকায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন বাজারে মোটা চাল (বিআর ২৮) বিক্রি ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, মানভেদে মিনিকেট ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৮ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি চালের দাম ৭০ থেকে ৭৬ টাকা, চিনি গুঁড়া পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়।

এদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে সোনালি মুরগির দাম। গত সপ্তাহের যে সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় তা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এখন বাজারে বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৫০, বড় সাইজের ফুলকপির জোড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ থেকে টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৫০, দেশি শশা ৪০, বরবটি ৯০, ঢেঁড়স ৭০, জালি কুমড়া ৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া পিস ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০, রসুন ২৩০ ও দেশি আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। চাষের পাঙাশ কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০, কৈ ২২০, শিং ৫০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল হোসেন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ‘‘আমরা মাংস বলতে ব্রয়লার মুরগি বুঝি, ঈদ ছাড়া গরুর মাংস কেনা হয় না। সপ্তাহে একদিন মুরগির কিনি কিন্তু এখন আবারো দাম বাড়লো। কিছু করার নেই কম নিতে হবে। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য পারছে না।’’

রাজধানীর নিউমার্কেটর সাওন মিনিট হাউজের স্বত্বাধিকারী সাওন মিয়া রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ‘‘গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মুরগির দাম একটু বেশি। কারণ চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। তবে সরবরাহ ঠিক হলে দাম স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’’

ঢাকা/রায়হান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রগ র দ ম সরবর হ র ম রগ

এছাড়াও পড়ুন:

বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম

ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।

সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।

পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুপেয় পানির সংকট, কাজে আসছে না কোটি টাকার প্রকল্প
  • নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
  • সুপারম্যানের কাছে আছে পৃথিবীর শক্তি সংকটের সমাধান
  • ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে পারে?
  • ইরান–ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা রূপ নিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে
  • ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • ভারত থেকে আইফোন রপ্তানি কেন বাড়ছে
  • সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
  • কমেছে সবজির দাম
  • বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম