মেসি-মার্তিনেজবিহীন আর্জেন্টিনার কে কেমন খেললেন
Published: 22nd, March 2025 GMT
লিওনেল মেসি ও লাওতারো মার্তিনেজ না থাকায় আক্রমণভাগের ধার তো কমার কথাই, পুরো দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসও কমে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। এমনই প্রেক্ষাপটে আজ উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে নেমে ১–০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। মন্টেভিডিওর ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার একাদশে থাকা খেলোয়াড়েরা কে কেমন করেছেন, সেটিই দেখে নিতে পারেন এখানে। রেটিং দিয়েছে গোলডটকম।এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (৬/১০)
মোটে দুটি সেভ, এর মধ্যে প্রথমার্ধে উরুগুয়ের এক ডিফেন্ডারের বিপজ্জনক আক্রমণ সামলাতে হয়েছে। এর বেশি আর তেমন কিছু করতে হয়নি। ম্যাচে মোট ২৫ বার সতীর্থদের বল বাড়িয়ে ১৯ বারই সফল হয়েছেন।
নাহুয়েল মলিনা (৫/১০)উরুগুয়ে বেশ কয়বার মলিনার পাহারায় থাকা অঞ্চল দিয়ে হানা দিতে পেরেছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে হিমশিম খেয়েছেন এই রাইটব্যাক। ৩৩টি পাসের মধ্যে সফল ২৫টিতে। রক্ষণের বাইরে মলিনা দুবার গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছেন।
ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (৬/১০)খুব বেশি কিছু করতে হয়নি। শুধু বল এ জায়গায় থেকে ও জায়গায় নড়িয়েছেন। বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়নি, প্রতিপক্ষকেও জায়গা দেননি।
নিকোলাস ওতামেন্দি (৬/১০)দারউইন নুনিয়েজকে সামলানোর চ্যালেঞ্জ ছিল। ভালোই করেছেন। আটবার পায়ে, দুবার হেডে বল বিপদমুক্ত করেছেন। তিনবার বল উদ্ধারও করেছেন।
নিকোলাস তালিয়াফিকো (৭/১০)বাঁ পাশে বেশ ভালোভাবে চাপ তৈরি করতে পেরেছেন। কয়েকবার বল উদ্ধারও করেছেন। হেডেই বল ক্লিয়ার করেছেন চারবার। ম্যাচের একমাত্র গোলের ক্ষেত্র প্রস্তুতেও জড়িত ছিলেন। পাসিংয়েও সাফল্য ৮৮ শতাংশ (২৬–এ ২৩)।
লিয়ান্দ্রো পারেদেস (৮/১০)মাঝমাঠের কেন্দ্রে খুব ভালো করেছেন। ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৯টি ডুয়েল জিতেছেন, চাপের মধ্যে বলে ডিস্ট্রিবিউশনও ছিল চমৎকার। ফাউলের শিকার হয়েছেন চারবার, আবার তিনটির মধ্যে দুটি ট্যাকলও জিতেছেন।
আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টার (৭/১০)শুরুতে বেশ স্বচ্ছন্দ ছিলেন, পরে লড়াই করতে হয়েছে। কয়েকবারই উরুগুয়ের মাঝমাঠের বাধা ডিঙিয়ে ভেতরে ঢুকেছেন। গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন দুবার।
এনজো ফার্নান্দেজ (৫/১০)৪৯টি পাসের ১১টিই লক্ষ্যে থাকেনি। ঠিকঠাক বলে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। তিনটি শটের মধ্যে লক্ষ্যে রাখতে পেরেছেন একটি।
গিলিয়ানো সিমিওনে (৫/১০)ফিনিশিংয়ে খুব একটা ভালো করতে পারেননি। গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। দুটি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পেরেছেন একটি।
হুলিয়ান আলভারেজ (৫/১০)খেলেছেন নাম্বার নাইন হিসেবে। তবে স্ট্রাইকারের ভূমিকায় হিমশিম খেয়েছেন। অবশ্য ম্যাচের একমাত্র গোলের অ্যাসিস্ট তাঁরই। সুযোগ তৈরি করেছেন মোট ৪টি।
থিয়াগো আলমাদা (৮/১০)প্রথমার্ধেই ভালো কিছু টাচ ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন, যেটিতে জিতেছে দলও। মোট ৩৬টি পাসের ৩৪টি সঠিক জায়গায় পৌঁছেছে। তিনটি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল দুটি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা কমপ্লায়েন্স অনুসরণে
অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়মত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদের আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘পরিচালনা পর্ষদ সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভার গুরুত্ব এবং লিমিটেড কোম্পানির কমপ্লায়েন্স’ শীষর্ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্ম পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) রেজিস্টার এ. কে. এম নুরুন্নবী কবির এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের শতাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
নুরুন্নবী কবির বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় পৌনে ৩ লাখ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আরজেএসসিতে নিবন্ধিত রয়েছে। কোম্পানি নিবন্ধনের প্রায় সব প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হয়ে থাকে।’’
তিনি জানান, শুধু কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফারের বিষয়টি আনলাইন সেবার বাইরে আছে। যেটি ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়সমত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদেরকে আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।’’
বিশেষ করে সরকারের সকল সেবা প্রাপ্তির পাশাপাশি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কমপ্লায়েন্স মেনে চলার উপর তিনি জোরারোপ করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও শিল্পখাতের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে লিমিটেড কোম্পানি ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসনের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোম্পানি আইন, গঠনতন্ত্র বা কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বিষয়ের জটিলতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার অভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।’’
কর্মশালাটি পরিচালনা পর্ষদ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা প্রভৃতির গুরুত্ব, সময়মতো এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পদ্ধতি, কোম্পানি আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স বজায় রাখার কৌশল এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করবে বলে জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
ঢাকা/নাজমুল//