হাতিয়ায় হান্নান মাসউদের ওপর হামলা, মাথায় জখম
Published: 24th, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের ওপর হামলা হয়েছে।
হান্নান মাসউদের নিজ জেলা নোয়াখালীর হাতিয়ায় জাহাজমারা বাজারে সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার ওপর হামলা হয়। এতে করে তিনিসহ পার্টির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এ দিন রাত সোয়া ১০টার দিকে হান্নান মাসউদের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা
বরিশালে পাওনা টাকার জেরে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
পোস্টে অভিযোগ করা হয়, বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে (আব্দুল হান্নান মাসউদ) মেরে ফেলার উদ্দেশ্য অতর্কিত হামলা চালায়।
হান্নান মাসউদের প্রোফাইলে হাতিয়ার ঘটনার পর ধারাবাহিক পোস্ট দেওয়া হয়েছে। ছবি ও ভিডিও পোস্টগুলোতে দেখা গেছে, হামলার প্রতিবাদে হান্নান মাসউদ তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
একটি পোস্টে লেখা হয়, হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের পথসভায় আব্দুল হান্নান মাসউদের পথসভায় বাধা দেয় একদল নব্য ফ্যাসিস্ট। প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি।
হান্নান মাসউদের প্রতিনিধি হিসেবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ ইউছুফ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২২ মার্চ) এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ এলাকার দুস্থ মানুষের খোঁজ-খবর নিতে হাতিয়ায় আসেন। সোমবার বিকালে তিনি উপজেলার জাহাজমারা বাজারে যান। ইফতার শেষে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে তিনি বাজারে একটি পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
বক্তব্য চলার সময় বিএনপি নামধারী একদল লোক বাজারের পশ্চিম দিক থেকে একটি মিছিল নিয়ে হান্নানের পথসভায় অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ইউছুফ।
হান্নানের এই প্রতিনিধি আরো অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তার ওপর হামলার চেষ্টা করলে উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবিতে হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে জাহাজমারা বাজারেই এনসিপির নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
ঢাকা/সুকান্ত/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ন ন ন ম সউদ র পথসভ য়
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস