বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ সামনে রেখে আর্জেন্টিনাকে কড়া বার্তা দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনহা। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন, এই ম্যাচে তারা জয়ী হবেন এবং তিনিই গোল করবেন।  

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় বিশ্ব ফুটবলের দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল মুখোমুখি হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। এই হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে বার্সেলোনা তারকা রাফিনহা বলেন, ‘আমরা তাদের পরাজিত করব.

.. অবশ্যই হারাব! মাঠে এবং প্রয়োজনে মাঠের বাইরেও।’ ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিওর সঙ্গে ‘রোমারিও টিভি’-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তিনি।  

রাফিনহা আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমি গোল করব। আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে খেলব।’ তার এই মন্তব্য ইতোমধ্যে আর্জেন্টিনায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো তার বক্তব্যকে ‘হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করছে।  

সম্প্রতি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচগুলো উত্তাপ ছড়িয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারাকানায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম লেগের ম্যাচটি মারামারি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়, যেখানে খেলোয়াড়রাও জড়িয়ে পড়েন। সে ঘটনার জেরে ফিফা উভয় ফেডারেশনকে শাস্তিও দিয়েছিল।  

তবে রাফিনহার আগ্রাসী বক্তব্যের বিপরীতে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি ম্যাচটিকে শুধুমাত্র একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ ফিক্সচার’ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘মাঠে আমরা যোদ্ধা, তবে মাঠের বাইরে বন্ধু। খেলোয়াড়দের বক্তব্য নিয়ে আমি গভীরে যেতে চাই না, তবে আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানি। আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্যাচ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি শুধুমাত্র একটি ফুটবল ম্যাচ। এর বাইরে যাওয়া উচিত নয়।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ