সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন কারাগারে
Published: 25th, March 2025 GMT
রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষে যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের (বাজিতপুর-নিকলী উপজেলা) সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এর আগে পল্টন থানায় করা যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় আফজাল হোসেনকে ১০ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। তবে মামলার মূল নথি অন্য আদালতে থাকায় পরবর্তী সময়ে রিমান্ডে শুনানি হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
এর আগে রোববার মধ্যরাতে আফজাল হোসেনকে মেহেরপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আফজাল হোসেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তাঁর বিরুদ্ধে বাজিতপুর থানায় একাধিক মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
আফজাল হোসেন ২০০৮ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি টানা চারবারের সংসদ সদস্য। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে আফজাল হোসেন প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে খাল, বিল ও নদী দখল এবং প্রতিপক্ষের লোকজনকে দমন–পীড়নের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনকিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি আফজাল হোসেন মেহেরপুরে গ্রেপ্তার২৪ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফজ ল হ স ন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।