জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে অন্তর্বর্তী সরকার ‘আপ্রাণ চেষ্টা করছে’ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মিলনায়তনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে আবদুল হাফিজ এ কথা বলেন। জাগ্রত নাগরিক সমাজ নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আহত রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড পরিদর্শন করে তাঁদের হাতে ঈদের উপহার তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী।

আহতদের উদ্দেশে আবদুল হাফিজ বলেন, ‘আপনাদের এই ত্যাগ অবিস্মরণীয়, অতুলনীয়। আপনাদের মতো আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন, সংগ্রাম করতে পারিনি। বুক পেতে দিতে পারিনি। এ জন্য আপনাদের প্রতি আমার ঈর্ষা হয়।’

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জালাল উদ্দীন বলেন, ‘তোমাদের এই অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যেন এই বীরত্বগাথা জানতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪০ জন এবং পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৩০ জনের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়। উপহারের প্যাকেটে ছিল ১ কেজি পোলাওর চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, ২ প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই, কিশমিশ, গরম মসলা, গুঁড়া দুধ ও নুডলস।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ। ঢাকা, ২৫ মার্চ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল হ ফ জ ব শ ষ সহক র আহতদ র উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু

জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।

কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।

সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
  • চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে কেউ নিচ্ছেন চিকিৎসা, কেউ করাচ্ছেন পরীক্ষা
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু