দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হওয়া বাছাইপর্বের অন্য ম্যাচে উরুগুয়েকে বলিভিয়া হারাতে না পারায় ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার আগেই বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায় লিওনেল স্কালোনির দলের। বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তালে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

এল আলতোয় উরুগুয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে স্বাগতিক বলিভিয়া। এতে শীর্ষ ছয় দলের একটি হিসেবে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়েছে আর্জেন্টিনার। ২০২৬ সালে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপ হবে ৪৮ দল নিয়ে। এর বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। সপ্তম দলটিকে দিতে হবে প্লে অফ পরীক্ষা।

উরুগুয়ের সঙ্গে ড্রয়ের পর ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সাতে বলিভিয়া। শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার সংগ্রহ ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট। বলিভিয়া বাছাইপর্বে আর চারটি ম্যাচ খেলবে। এই চার ম্যাচে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ১৪ পয়েন্টের ব্যবধান কমানো বলিভিয়ার পক্ষে অসম্ভব। উরুগুয়ের বিপক্ষে বলিভিয়া জিততে পারলে তখন ব্রাজিলের বিপক্ষে ড্র করলেই চলত আর্জেন্টিনার।

১৩ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইকুয়েডর। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ব্রাজিল। ১৪ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট পাওয়া উরুগুয়ে চারে। প্যারাগুয়ে ১৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে। ১৩ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে কলম্বিয়া।

বলিভিয়া-উরুগুয়ে ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিফার পোস্টে লেখা হয়, ‘২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আর্জেন্টিনা।’ দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে লেখা হয়, ‘অভিনন্দন আর্জেন্টিনা! ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।’

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, প্রথম কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনাকে দুটি বিশ্বকাপে খেলানোর যোগ্যতা অর্জন করালেন স্কালোনি। তাঁর হাত ধরে ২০২২ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে চ্যাম্পিয়নও হয় আর্জেন্টিনা। আয়োজক তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোসহ জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইরান ও আর্জেন্টিনা এখন পর্যন্ত ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন র ১৩ ম য চ বল ভ য়

এছাড়াও পড়ুন:

সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে

সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ  ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।

একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের  প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে,  মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে  ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: এবার কাদের বিপক্ষে, কবে খেলবে বাংলাদেশ?
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে
  • প্রধান উপ‌দেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন: জামায়া‌তে ইসলামী
  • ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
  • নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই উপযুক্ত: সাকি
  • ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে আনচেলত্তির ব্রাজিল
  • প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রোজার আগে নির্বাচন হতে পারে