ভ্যানে গ্রামে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বললেন সারজিস আলম
Published: 26th, March 2025 GMT
নিজ এলাকায় এসে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাড়ি বাড়ি এবং ক্ষেতখামারে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখালদেবী, বামনকুমার, বালিয়া, লক্ষ্মীত্থানসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এদিন দুপুরে সারজিস আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে গ্রামে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে ছবি পোস্ট করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
জারার বক্তব্যের জবাব দিলেন সারজিস
হাসিনার দোসররা উৎপাত করলে ছাড় নয়: সারজিস
স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘‘জীবনের প্রথম ১৭ বছর এই মাটি ও মানুষের সঙ্গে থেকে বেড়ে উঠেছি। এখানেই যেন চিরপ্রশান্তি। সরু আইল দিয়ে হেঁটে চলা, মাচায় বসে গল্প করা, ভ্যানে করে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়া, এগুলো যেন আমাদের চিরচেনা গল্প। এই গল্পগুলো শুনতে, শোনাতে এবং বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’’
কৃষকের আজকের দাবি নিয়ে সারজিস আলম আরো লিখেছেন, ‘‘কৃষক এখন বাজারে প্রতি কেজি আলু পাইকারি ১০ টাকা করে বিক্রি করে। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয় গড়ে ২০ টাকা। এবার কৃষক আলুতে প্রায় অর্ধেক লস করছে। সেই জায়গায় অন্তত কেজিপ্রতি তারা যদি ২৫ টাকা পেত তাহলে তাদের জীবন চলা সম্ভব হতো। মাঠে কৃষকের উৎপাদন খরচ এবং দেশব্যাপী গ্রাহকের কেনার সামর্থের মধ্যে সামঞ্জস্য প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকারকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। কৃষক যদি তাদের দাম না পায়, তাহলে চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। পণ্যসংকট তৈরি হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে। সেই হিসেবে কৃষক অন্তত ২৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে পারলে বাজারে খুচরা ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। এই সামঞ্জস্য অতি জরুরি।’’
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের পর প্রথমবারের মতো নিজ জেলা পঞ্চগড়ে আসেন সারজিস আলম। প্রথমে ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ যান। দেবীগঞ্জ থেকে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে তিনি নিজ জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর করেন। সারজিস আলমের বাড়ি আটোয়ারী উপজেলায়। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এই ‘শোডাউন’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।