প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে এশীয় নেতাদের অবশ্যই এক হতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সাত বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। তাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত মূল্য বহন করে চলছে। সংহতি প্রকাশ করে জাতিসংঘের মহাসচিব সম্প্রতি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। যদিও বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা ব্যাপকভাবে সংকুচিত হচ্ছে, কিন্তু অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে এশীয় নেতাদের অবশ্যই এক হতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে তাঁর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করেছে। নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংস্কারের জন্য স্বাধীন কমিশন করা হয়েছে। এসব সংস্কার বাস্তবায়িত হলে জাতির মৌলিক রূপান্তর ঘটবে।

লাওসের প্রধানমন্ত্রী সোনেক্সাই সিফানডোন, চীনের স্টেট কাউন্সিলের নির্বাহী উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং, বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার চেয়ারম্যান বান কি-মুন এবং এর মহাসচিব ঝাং জুনের এই সম্মেলনের উদ্বোধনী প্লেনারি সেশনে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বুধবার চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছান। আগামীকাল শুক্রবার বেইজিংয়ে মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

এই সফরে বোয়াও ফোরামের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত ও চীনের বড় বড় কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠক করবেন মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার ২৯ মার্চ দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ