আনন্দ মেলার উপস্থাপনায় প্রথমবার ইমন, সঙ্গে তুফানের নাবিলা
Published: 28th, March 2025 GMT
ঈদে দেশিয় টিভি চ্যানেলগুলোতে যতগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেগুলোর মধ্যে ‘আনন্দ মেলা’ অন্যতম। প্রথমবারের মতো এই আয়োজনের উপস্থাপনায় থাকছেন চিত্রনায়ক ইমন, তার সঙ্গে থাকছেন মাসুমা রহমান নাবিলা।
ছোটবেলা থেকে ঈদ আয়োজনে ইত্যাদি এবং আনন্দ মেলা’র ভক্ত ছিলেন নায়ক ইমন। কোনো ঈদেই এই দুটি অনুষ্ঠান তিনি মিস করতেন না।
চ্যানেল আই অনলাইনকে ইমন বলেন, নাইন্টিজ কিড হিসেবে যতকাজ থাকুক ঈদে এই দুটি অনুষ্ঠান দেখতাম। মিডিয়াতে আসার পর আনন্দ মেলাতে একাধিকবার পারফর্মও করেছি। এবার আমার কাছে উপস্থাপনার ডাক এলে আমি মিস করতে চাইনি। এ কারণে অন্যকাজ বাদ দিয়ে আনন্দ মেলার উপস্থাপনা করেছি। কাজটি করে আমার দারুণ উপস্থাপনা হলো। শুটিংয়ে মিনিস্ট্রির অনেকে ছিলেন, তারা প্রশংসা করেছেন।
ইমন জানান, নাবিলার সঙ্গে প্রথম কোনো অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করলেন। সবমিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। ইমনের প্রত্যাশা, দর্শকরাও উপভোগ করবেন।
জানা যায়, নাচ, গান, কাওয়ালি, কৌতুক, নাটিকা এসব আয়োজনেই সেজেছে অনুষ্ঠানটি। কিংবদন্তি রুনা লায়লা এবার আয়োজনে গান গেয়েছেন। ইমরান ও কনাও ডুয়েন কণ্ঠে গেয়েছেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানটিতে ফোক গান পরিবেশন করেছেন সালমা, ঐশি ও গামছা পলাশ।
নয়টি গানের কোলাজে নৃত্যে অংশ নিয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও শবনম বুবলী।সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ‘আনন্দমেলা’ প্রচারিত হবে ঈদের দিন রাত ১০টায় বিটিভিতে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন