এ দেশের মানুষ শাসনের বদলে শোষণ চায় না : মামুন মাহমুদ
Published: 29th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, বিগত ১৫টি বছর আওয়ামী লীগের দ্রব্যমূল্যের দাম এতটা বাড়িয়ে দিয়েছে যে ২০ টাকা কেজি চালের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে দিয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে তাদের এমপি মন্ত্রীরা অটল সম্পদের মালিক হয়েছে আর বিদেশে টাকা পাচার করেছে।
এভাবেই পনেরটি বছর মানুষকে জুলুম অত্যাচার ও নিষ্পেষিত করেছেন। মামলা খেয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছে কেউ জেল খেটেছে আবার কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আপনাদের এই এলাকার সন্তান শাওন প্রধান কিন্তু পুলিশের গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল এগারোটায় ফতুল্লায় কাশিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। এসময়ে অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, শুধু মামলা, হামলা, নির্যাতন দমন করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি করেছে। ১৫টি বছর মানুষের ভোট দিতে পারেনি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আপনারে কিন্তু ভোট দিতে পারেননি ভয়ে ভয়ে ছিলেন কারণ তাদের গুন্ডা পান্ডা আপনাদেরকে ভয় ভিত্তি দেখাই ছিল।
একেক জন রাজা মহারাজা হয়ে গেছিল। তাদের দমন, নিপীড়ন ও অত্যাচারে মানুষ অসহায় ছিল। এখন তো আপনারা শান্তি মতো ভাবে চলাফেরা করতে পারেন। দেশের মানুষ কিন্তু এটাই চায় তারা শান্তিতে বসবাস করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষ শাসনের বদলে শোষণ করবে এটা দেখতে চায় না। আপনারা চান না আমরা চাইনা আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চায় না।
আগামী দিনে দেশের জনগণ যাকেই পছন্দ করবে যাকেই মন যাবে তাকেই যেন ভোট দিতে পারে সে রকম ব্যবস্থা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারেক রহমান।
আমরা বিগত ১৭টি বছর তারেক রহমানের নির্দেশে আপনাদের ভোটের অধিকার রক্ষা করার জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, জীবন দিয়েছি, জেল খেটেছি। বাড়িঘর হারা হয়েছে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চাকরি-বাকরিও চলে গিয়েছিল।
আমাদের এসব কিছু তারা দখল করে বাংলাদেশকে একটি শোষণের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আমরা এই সকল থেকে বেরিয়ে আসতে চাই আমরা আপনাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই জনগণের যাকে ভোট দেবে আগামীতে তারাই নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, একরামুল কবির মামুন, নাদিম হাসান মিঠুস, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন আওয় ম ল গ ব এনপ র আপন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।