এবারের ঈদে ‘হারল্যান ঈদের খুশি, নতুন স্কুটিতে হবে বেশি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন বা বিক্রয় কার্যক্রম বেশ সাড়া ফেলেছে। দেশজুড়ে দেড় শতাধিক হারল্যান স্টোর আউটলেট, হারল্যান স্টোর ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট ও herlan.com ওয়েবসাইটে এ ক্যাম্পেইন চলে। এর আওতায় হারল্যান স্টোর থেকে কসমেটিকস, তথা প্রসাধনী ও স্কিন কেয়ার বা ত্বক পরিচর্যার পণ‌্য কিনে এখন পর্যন্ত ছয়জন স্কুটি জিতেছেন। এ ছাড়া লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার জিতেছেন ক্রেতারা।

হারল্যান ব্র্যান্ডশপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো.

গিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘বাজারে প্রচুর মানহীন ও ভেজাল পণ‌্য রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আমরা মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা বিবেচনায় স্টোরগুলোতে নামীদামি ব্র্যান্ডের মানসম্পন্ন পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। ফলে আমাদের শপগুলোতে প্রতিনিয়ত উপচে পড়া ভিড় হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশব্যাপী হারল্যানের রিটেইল আউটলেটগুলোয় গত ঈদের তুলনায় এবার বিক্রি প্রায় ৫০০ শতাংশ বেশি হয়েছে। হারল্যান স্টোরে এখন দেশি-বিদেশি ১৬টির বেশি ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।’

হারল্যান জানায়, রাজধানীর গুলশান পিংক সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, উত্তরার জসীমউদ্‌দীন, বেইলি রোডের আউটলেটগুলোয় ব‌্যাপক ভিড় হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের আগে ক্রেতারা বেশ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে স্কিন অ্যানালাইজার মেশিন ব‌্যবহার করে পণ‌্য বাছাই করেছেন। স্টোরগুলোয় ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ছিল লিপস্টিক, আইলাইনার, পাউডার, ফাউন্ডেশন, লিপগ্লস, আইশেড কালার কসমেটিকস ইত্যাদি। এ ছাড়া ফেস ও হেয়ার সিরাম এবং ফেসওয়াশ প্রভৃতি ভালো বিক্রি হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আউটল ট

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ