মায়ের মায়ার আঁচল বিছিয়ে থাকত ঘরের কোণে কোণে
Published: 31st, March 2025 GMT
অন্যান্য দিন থেকে আলাদা হয়ে ঝটকা দিয়ে যেদিন সকালবেলা ঘুম ভাঙত আলাদা এক ঘ্রাণে, সেটা ঈদের দিন। রান্নার নানা রকম মসলা, আতর, গোলাপজল, আগরবাতি—সব ঘ্রাণ মিলে বাড়িটিকে দিত আলাদা এক মাত্রা। সে আমার দিগন্তের কাছাকাছি শৈশবের কথা।
আগের সন্ধ্যায় রেডিওতে বেজেছিল, ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ।’ সে গান শুনে মায়ের শেষ মুহূর্তের কাজ যেত বেড়ে। আমাদের বোনদের জামার ফিনিশিঙের কাজ। ছেলেদের পাঞ্জাবি ঠিক করা। রান্নার কিছুটা এগিয়ে রাখা। মসলার ভাগ ভাগ করা থালা ভরে উঠত নিত্যব্যবহারের বাইরের কিছু সুগন্ধি মসলায়। তুলে রাখা চাদর ও টেবিলক্লথ বের করা; সেসব থেকে ছড়িয়ে পড়ত ন্যাপথলিনের গন্ধ। আলোর মুখ দেখত শোকেসে তুলে রাখা বনেদি চেহারার বাসনকোসন। প্রতিদিনের আটপৌরে জীবন থেকে বের হয়ে নতুন শব্দ, গন্ধ ও স্বাদের অনন্য এই দিন! আহা, দশভুজা মা আমার-আমাদের চমৎকার একটি দিন উপহার দিতে, তার ছোটাছুটিতে ছিল ব্যালে নর্তকীর বিভঙ্গ! সর্বত্র মাময়! সেই শৈশবে বুঝিইনি মায়ের খুব পরিশ্রম হচ্ছে বা বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে তার; বরং ভাবতাম, সে বুঝি বড্ড খুশি এত এত কাজ করতে পেয়ে!
সত্তরের দশকে বাসায় না ছিল ফ্রিজ, না ছিল টিভি। আমাদের খাবার হতো টাটকা। আমাদের বিনোদন ছিল পুতুল খেলা, দৌড়ঝাঁপ। সারা মাস রোজা রেখেও ঈদের প্রায় সারা দিন মা কীভবে রান্নাঘরে কাটাত, সে মা–ই জানে। সকালে মা বানাতেন নানা পদের মিষ্টি খাবার। সে–ও পরিমাণে এতটাই বেশি যে অনেক ভিখারি তার ভাগ পেত। বাসার ছেলেরা ঈদগাহে যাওয়ার আগেই খেতে দিতে হবে শরবত আর খোরমা। ঈদের নামাজ থেকে ছেলেরা ফেরার আগেই বাড়ির মেয়েদের নিয়ে মা নামাজ পড়তেন। আশেপাশের বাসা থেকেও নারীরা যোগ দিত মায়ের সঙ্গে। সে দিনটিতে মা বাড়তি কিছু গয়না পরতেন, চোখে সুরমা দিতেন ঝকঝকে মাজা সুরমাদান থেকে। ঈদের আগের দিনই আগরদান, আতরদান, সুরমাদান, গোলাপপাশ সব মেজেঘষে তকতকে করে রাখতেন মা নিজেই।
মনিরা মিঠি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মির্জা আব্বাস
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা প্রকাশ করেন।
আরো পড়ুন:
যে আসন থেকে লড়বেন তারেক রহমান
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচন প্রায় ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দিনাজপুর-৩ থেকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকেও লড়বেন তিনি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ