গোমতী নদীর পাড় থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
Published: 2nd, April 2025 GMT
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর-জিয়ারকান্দি ব্রীজের গোমতী নদীর পাড় থেকে খোকন মিয়া নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার জিয়ারকান্দি ব্রীজের গোমতী নদীর পাড়ে ওই যুবকের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী।
নিহত খোকন মিয়া তিতাস উপজেলা বলরামপুর ইউনিয়নের নাগেরচর দূর্গাপুর গ্রামের হক মিয়ার ছেলে। খোকন মিয়া ঠিকাদারি কাজ করতেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হেলাল উদ্দিন জানান, স্থানীয় কয়েকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে আমরা মরদেহের সুরহাতাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে আসি। তবে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী জানান, স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে আমি ফোর্স পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। নিহত খোকন মিয়ার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা সমম্ভ হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস