কমলা রঙের প্যান্ট ও সবুজ শার্ট পরে সুইজারল্যান্ডে নাচ...
Published: 2nd, April 2025 GMT
‘বেশ কয়েক বছর আগের কথা। আমি সুইজারল্যান্ডে একটি তামিল সিনেমার গানের শুটিং করছিলাম। রাস্তার মাঝখানে নাচছিলাম, আর তখনই দেখি, এক সুইস কৃষক আমাদের দিকে তাকিয়ে বিরক্তির সঙ্গে কেমন করে যেন তাকাচ্ছে। সেদিন আমি মনে মনে বলেছিলাম, তুমি চেন্নাইয়ে আসো, আমি তোমাকে দেখিয়ে দেব আমি কে। তবে খুবই অপমানিত বোধ করেছিলাম সেদিন। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো, আমি আসলে অন্যদের ইচ্ছেমতো নাচ করছি। তারপর সিদ্ধান্ত নিই, কিছুদিন বিরতি নেব,’ বললেন বলিউড ও দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা আর মাধবন। ৪ এপ্রিল মুক্তি পেতে পাচ্ছে মাধবন অভিনীত সিনেমা ‘টেস্ট’। ছবিটি মুক্তির আগে ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিরতি নেওয়ার প্রসঙ্গটি আনেন। জানালেন, কেন দীর্ঘ চার বছর সিনেমা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন।
এক-দুই বছর নয়, টানা চার বছর কাজ করেননি মাধবন। এ নিয়ে বলিউড থেকে দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রি—শোরগোল কম হয়নি। সে সময় এ নিয়ে তেমন কিছু না বললেও এই সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি সব কথা বললেন। জানালেন এতগুলো বছর নিজের প্রিয় কাজ থেকে দূরে থাকার কারণ।
অনেকেই ক্যারিয়ার থেকে ব্রেক নেন, নিজেকে সময় দেন। নিজেকে তৈরি করেন বা প্রস্তুতি নেন নতুন কাজের জন্য। সেটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু মাধবন ব্রেক নিয়েছিলেন অন্য কারণে। পছন্দের চরিত্র না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ছিলেন। একটি ঘটনার কথাও শেয়ার করেন। জানান, সুইজারল্যান্ডে একটি তামিল গানের শুটিং করছিলেন। সেখানে তাঁকে কমলা রঙের প্যান্ট ও সবুজ শার্ট পরে নাচতে হয়। সেই অভিজ্ঞতা তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
সেদিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মাধবন জানান, তাঁর স্ত্রী অভিযোগের সুরে জানিয়েছিলেন, যেভাবে কাজ চলছে, তা দেখে মনে হচ্ছে, অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে চাইছেন। কথাটি শুনে মাধবনেরও মনে হয়েছিল, সত্যিই তাই। এখন বিরতি নেওয়া উচিত। এভাবে আর কত! এ যুগেও এসব চলে!
এই চার বছরে মাধবন শুধু সিনেমা নয়, কোনো বিজ্ঞাপনেও কাজ করেননি। ছেড়ে দিয়েছিলেন সব অফার। লুক পরিবর্তন করে ভারতের নানা প্রান্তে শুধু ঘুরে বেড়িয়েছেন। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দেখেছেন। রিকশাচালকদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, তাঁদের সংগ্রাম দেখেছেন। অভিনেতার মতে, এই চারটা বছর তাঁকে অনেক কিছু নতুন করে শিখিয়েছে। এই চার বছরে শিখে নেওয়া সবকিছু তাঁকে নতুনভাবে গড়তে সাহায্য করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ র বছর
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।
জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।
ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।
আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’
জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল