নোয়াখালী কবিরহাটে ছয় বছর বয়সী যমজ ২ বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহীন মিয়া।

এর আগে, বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নির্যাতিত শিশুদের মা বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত কিশোর (১৬) উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

চোর সন্দেহ শ্রমিকদল নেতাকে হত্যা: মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ৪

রাজশাহীতে চাচার হাঁসুয়ার কোপে ভাতিজা নিহত

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ দুই বোন ঘরের পাশে খেলা করছিল। এ সময় অভিযুক্ত এক বোনকে ফুসলিয়ে পাশের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী ডাক-চিৎকার করে অন্য বোন তার মাকে গিয়ে বিষয়টি জানায়। দ্রুত মা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ সময় অন্য বোন জানায়, অভিযুক্ত দুদিন আগ তার সঙ্গেও একই কাজ করেছে।

কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শাহীন মিয়া বলেন, ‘‘গত ৩০ মার্চ আসামিকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন দায়ের হওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’’

ঢাকা/সুজন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ