ঈদের চতুর্থ দিনেও শেরপুরের গজনী অবকাশকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়
Published: 3rd, April 2025 GMT
ঈদের চতুর্থ দিনেও শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশকেন্দ্রে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা দেখে। কর্মজীবনের নানা ব্যস্ততা ও শহরের যান্ত্রিক কোলাহল ভুলে গারো পাহাড়ের নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। গত চার দিন পর্যটকেরা কেউ আসছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ আসছেন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসু মানুষ গজনী অবকাশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ সেলফি তুলছেন। আবার কেউ–বা প্রিয়জনের ছবি মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দী করছেন। বিশেষ করে ঝুলন্ত সেতু, ভাসমান সেতু, ওয়াটার পার্ক ও গারো মা ভিলেজ কর্নারে দর্শনার্থীদের অনেক ভিড় দেখা যায়। অনেকে আবার অবকাশের লেকে প্যাডেল নৌকায় চড়ে আনন্দ উপভোগ করছেন। অবকাশের ‘চুকোলুপি’ শিশুপার্কের বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে শিশুরা।
ঈদের চতুর্থ দিনেও শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশকেন্দ্রে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা দেখে। কর্মজীবনের নানা ব্যস্ততা ও শহরের যান্ত্রিক কোলাহল ভুলে গারো পাহাড়ের নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। গত চার দিন পর্যটকেরা কেউ আসছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ আসছেন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসু মানুষ গজনী অবকাশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ সেলফি তুলছেন। আবার কেউ–বা প্রিয়জনের ছবি মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দী করছেন। বিশেষ করে ঝুলন্ত সেতু, ভাসমান সেতু, ওয়াটার পার্ক ও গারো মা ভিলেজ কর্নারে দর্শনার্থীদের অনেক ভিড় দেখা যায়। অনেকে আবার অবকাশের লেকে প্যাডেল নৌকায় চড়ে আনন্দ উপভোগ করছেন। অবকাশের ‘চুকোলুপি’ শিশুপার্কের বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে শিশুরা।
গজনী অবকাশকেন্দ্রের লেকের ভাসমান সেতুর সামনে উৎফুল্ল কয়েকজন নারী দর্শনার্থী। বৃহস্পতিবার দুপুরে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক উ আসছ ন অবক শ র আনন দ করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
তীব্র গরমে তালের শাঁসে স্বস্তি দর্শনার্থীর
গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা চুনারুঘাটবাসীর কাছে স্বস্তির আরেক নাম তালের শাঁস। তাই মনের মতো শাঁসের স্বাদ নিতে অনেকেই ভিড় করছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চণ্ডিছড়া চা বাগানের মাজার গেটে। সেখানে বসেছে তালের মৌসুমি বাজার।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বাজারে ভিড় করছেন স্থানীয় পথচারী ও ভ্রমণপিপাসুরা। স্থানীয় যুবকরা প্রতিদিন ভোরে পাহাড়ি এলাকা থেকে সংগ্রহ করেন তাজা তাল। দুপুর গড়ানোর আগেই তা বিক্রি হয়ে যায় চাহিদার টানে। সড়কের পাশে সাজানো তালের স্তূপ, তাল কাটার শব্দ আর ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক মিলিয়ে দিনভর মুখর হয়ে থাকে মাজার গেট এলাকা।
তাল বিক্রেতা আব্দুল আলী বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০টি তাল বিক্রি হয়। প্রতিটি তাল ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করেন। সাধারণত প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার তাল বিক্রি হয়। সাতছড়ি ঘুরতে আসা মৌলভীবাজার জজকোর্টের আইনজীবী ইমরান লস্কর বলেন, “ঈদের পর বন্ধুদের নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ঘুরতে গিয়েছিলাম। সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে ফিরছিলাম বাড়ি। পথে চণ্ডিছড়ায় তালের দোকানে চোখ পড়তেই তৃষ্ণা মেটাতে নামি আমরা।’
বাহুবল থেকে আসা মামুনুর রশীদ বলেন, এভাবে স্থানীয়রা মৌসুমি ফল বিক্রি করে যেমন উপার্জন করছেন, তেমনি ভ্রমণকারীরাও পাচ্ছেন প্রকৃতির এক সরল আনন্দ। এই দৃশ্য শুধু মৌসুমি ফল বিক্রির গল্পই নয়; বরং গ্রামীণ জীবিকার ছোঁয়া, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের টিকে থাকার লড়াই আর আন্তরিকতার এক বাস্তব চিত্র।
চণ্ডিছড়ার এই তালের বাজার এখন সাতছড়ি সড়কের গরমকালীন আলাদা পরিচয় রয়েছে। তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ ও তৃষ্ণা নিবারণের ক্ষমতা এই গরমে একে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। তাল শাঁস খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর– এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিদরা।
স্থানীয়রা জানান, এই মৌসুমি বাজার শুধু একটি ফলের বাজার নয়, এটি গ্রামীণ অর্থনীতির একটি চিত্র। স্থানীয় যুবকরা এই মৌসুমি ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাল সংগ্রহ, কাটা ও বিক্রির মাধ্যমে তারা একটি সাময়িক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস তৈরি করেছেন। চণ্ডিছড়ার তালের বাজার এখন শুধু স্থানীয়দের নয়; বরং দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। এই মৌসুমি তালের শাঁসের স্বাদ অনেকের মন জয় করে নিয়েছে। এ ছাড়াও সেখানে আম, জাম ও কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে।