পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সোহাগ হাওলাদার (২৭) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গতকাল শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নে ধর্ষণ ও রাতে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীকে মারধরের ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ও তার স্বামী।
হাসপাতালে ভুক্তভোগী নারী জানান, আত্মীয়তার সুবাদে প্রতিবেশি সোহাগ তার ঘরে যাওয়া আসা করতেন। প্রায় আড়াই বছর আগে ঘরে একা পেয়ে সোহাগ তাকে ধর্ষণ করেন এবং ওই ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সোহাগ ওই নারীকে আরো কয়েকবার ধর্ষণ করেন। গতকাল দুপুরে ভুক্তভোগীকে ঘরে একা পেয়ে আবারো ধর্ষণ করেন ওই যুবক। সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নদীতে মাছ শিকারে যান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফের ধর্ষণ করতে গেলে ওই নারী সোহাগকে বাঁধা দেন এবং কৌশলে ফোনে তার স্বামীকে বিষয়টি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ ভুক্তভোগীকে মারধর করেন। এসময় নারীর স্বামী বাড়িতে প্রবেশ করলে সোহাগ সেখান থেকে পালিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে যমজ ২ বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ
ঈদের রাতে অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, “আমি জেলে। তারা (অভিযুক্ত) এলাকার প্রভাবশালী। বর্তমানে মামলা না দেওয়ার জন্য তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। রাতে আমার স্ত্রী ফোন দিয়ে জানালে আমি মাছ ধরা বাদ দিয়ে বাড়িতে এসে সোহাগকে দেখতে পাই। আমাকে দেখে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। সোহাগকে এ কাজে আরো কয়েকজন সহযোগিতা করে। আমি আমার স্ত্রীকে নির্যাতনকারীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ওই ন র
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি