Samakal:
2025-05-01@03:11:35 GMT

ছোটদের ইংরেজি শেখান যিনি

Published: 5th, April 2025 GMT

ছোটদের ইংরেজি শেখান যিনি

ইংরেজি শেখা এখন কেবল প্রয়োজনীয় নয়, বরং এটি অত্যাবশ্যক দক্ষতা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশুর জন্য ইংরেজির গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ ভবিষ্যতের শিক্ষা ও কর্মজীবনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই চাহিদাকে মাথায় রেখে হেডম্যান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ইমাম হোসেন শুরু করেছেন ‘কিডস ইংলিশ’, যা শিশুদের জন্য ইংরেজি শেখার এক ব্যতিক্রমী ও মজার প্ল্যাটফর্ম। ইমাম হোসেনের এ উদ্যোগ শিশুশিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে মজার কৌশল, খেলাধুলার মাধ্যমে শেখানো পদ্ধতি ও বাস্তব জীবনের উদাহরণ ব্যবহার করে ইংরেজি শেখানো হয়।
আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থীই বিষয় হিসেবে বা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজির নাম শুনলেই ভয় পেত বা এখনও ভয় পায়। ইমাম হোসেন বলেন, ‘এই ভয়কে বিদায় জানাতে ২০১৮ সালে গড়ে তুলি হেডম্যান একাডেমি নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে শেখার মানেই মজা। মাত্র ১৫৫ স্কয়ার ফুটের ছোট্ট এক অফিস থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠান আজ ১০,৫০০ স্কয়ার ফুটের বিশাল ক্যাম্পাসে ঢাকা এবং সিলেটে ৩,০০০ স্কয়ার ফুটে বিস্তৃত। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো– হেডম্যান একাডেমির ছড়িয়ে পড়া ভাষা শেখার ভয়হীন এক নতুন দর্শনে। এই হেডম্যান একাডেমির অনন্য উদ্যোগ কিডস ইংলিশ। মূলত শিশুদের ইংরেজি ভয় দূর করতে ও আনন্দের সঙ্গে উপযুক্ত পরিবেশে ইংরেজি শেখানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালে গড়ে তুলি এ প্ল্যাটফর্মটি। শিশুরা যখন আনন্দের সঙ্গে শেখে, তখন তাদের দক্ষতা দ্রুত বিকাশ লাভ করে। কিডস ইংলিশ সেই চিন্তাভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে, যা অভিভাবকদের জন্যও স্বস্তির বার্তা।’
‘কিডস ইংলিশ’ প্লে-লার্নিং বা খেলার মাধ্যমে শেখার পদ্ধতি অনুসরণ করে। এখানে রয়েছে আকর্ষণীয় গল্প বলা, ইন্টারঅ্যাকটিভ ভিডিও, রোল-প্লে, ফ্ল্যাশকার্ড এবং গানের মাধ্যমে শব্দ শেখার মজার পদ্ধতি। শিশুরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলা ও বিভিন্ন বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি অনুশীলন করার সুযোগ পায়, যা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। শুধু শিশুরাই নয়, অভিভাবকদের জন্যও ‘কিডস ইংলিশ’ স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে। অনেক অভিভাবক সন্তানদের ইংরেজি শেখানোর উপযুক্ত উপায় বা পরিবেশ খুঁজে পান না। তাদের জন্য ‘কিডস ইংলিশ’ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিশুরা খেলতে খেলতে শেখে এবং ইংরেজি ভয় কাটিয়ে ওঠে। 
ইমাম হোসেন বলেন, ‘শিশুদের ইংরেজি ডেভেলপমেন্টের জন্য আমরা প্রথম আলাদাভাবে চিন্তা করে কিডস ইংলিশ নিয়ে কাজ শুরু করেছি! ২০২৪ সালে এসে শিশুদের ইংরেজি শেখার জন্য যে পরিবেশ দরকার আমরা সে পরিবেশও নিশ্চিত করেছি। আমাদের লক্ষ্য শিশুদের ইংরেজির প্রতি ভয় কাটিয়ে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। আমরা চাই তারা আনন্দের মাধ্যমে শিখুক এবং ভাষাটিকে সহজভাবে রপ্ত করুক।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র জন য পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষ চিন্তা করতে পারেনি, তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানেরা জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমেছিল, আমরাও তাদের সঙ্গে ছিলাম। তারা ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছে। এক বছর আগেও মানুষ চিন্তা করতে পারেনি যে তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে। কিন্তু আজ সারা দেশের জনগণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই সর্বময় ক্ষমতার মালিক। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং ইচ্ছেমতো কেড়েও নেন। তা আমরা জুলাই বিপ্লবে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছি।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় খুলনার খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘সহযোগী সদস্য সংগ্রহ অভিযান-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথাগুলো বলেন।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচন নিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘২০১৪ সালে তারা ষড়যন্ত্র করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করেছিল। কেউ নির্বাচনে যায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায়। যেখানে রাতেই ভোট হয়ে গিয়েছিল। আর এসব নির্বাচনে হাসিনাকে সঙ্গ দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আমরা একটা কালো যুগ পার করেছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের সব অধিকার হরণ করেছিল। মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। মানুষকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে দেয়নি। তারা মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়নি।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যারা হাত-পা হারিয়েছে, যারা নির্যাতিত হয়েছে, তারা কখনোই এসব খুনিকে ক্ষমা করবে না। খুনিদের বিচার করতে হবে এবং সব স্তরে সংস্কার করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে, যেখানে কালোটাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থাকবে না। নির্বাচন জনগণের অধিকার। জনগণই তাঁদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। যাঁরা নির্বাচনে কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার করতে চাইবেন, জনগণ তাঁদের প্রতিহত করবেন।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতার দম্ভে মানুষের ওপর লাগামহীন জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা না করে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জেল-জুলম, গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তারা মনে করেছিল যে তাদের এমন অপশাসন ও দুঃশাসন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। কিন্তু আল্লাহ জালিমদের ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না।’

ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে, বেকারত্ব ও চাঁদাবাজি থাকবে না। যেখানে মা-বোনেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না। আমরা সাম্যের ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

খানজাহান আলী থানা জামায়াতের আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও বায়তুল মাল সেক্রেটারি হাফেজ আমিনুল ইসলাম। গণসংযোগের সময় স্থানীয় মার্কেটের ব্যবসায়ী, পথচারী, স্থানীয় বাসিন্দা, গাড়িচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দাওয়াত দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক এডিসি ইশতিয়াকের নির্যাতন নিয়ে অভিযোগ জমা দিলেন রাশেদ খান
  • ২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
  • মানুষ চিন্তা করতে পারেনি, তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
  • দুর্নীতির মামলায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক সাময়িক বরখাস্ত
  • জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
  • সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক
  • চাকরি ছেড়ে হয়েছিলেন হতাশাগ্রস্ত বেকার, এখন মাসে আয় ৯ লাখ টাকা