আগের ভোটের সবাই বাদ, ‘যোগ্য’ নতুন ডিসি খুঁজে পাচ্ছে না সরকার
Published: 1st, November 2025 GMT
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আর মাত্র তিন মাস পরই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী মাস ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে নির্বাচনের তফসিল। তবে নির্বাচনের আগে জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে সরকার। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় সংখ্যক যোগ্য কর্মকর্তা।
সরকারের সিদ্ধান্ত হলো, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের এবার নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনে রাখা হবে না। এখন যাঁরা ডিসি রয়েছেন, তাঁদের অনেককে তুলে এনে নির্বাচনের আগে নতুন নিয়োগ দিতে চায় সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এখন যাঁরা ডিসি হওয়ার যোগ্য, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ কর্মকর্তা ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার (এআরও) দায়িত্বে ছিলেন। আবার যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন না, তাঁদের অনেকের ডিসি হওয়ার মতো যোগ্যতা নেই। কারণ, শর্তানুযায়ী মাঠ প্রশাসনে দুই বছর দায়িত্ব পালন না করলে ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া যায় না। কিছু কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা শর্ত পূরণ করেন, তবে দায়িত্ব পালন ও নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন। কোনো নির্বাচনী আসনে নির্বাচনের সব দায়িত্ব থাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার। তিনিই মূলত সংশ্লিষ্ট আসনে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের নিরপেক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এখন যাঁরা ডিসি হওয়ার যোগ্য, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ কর্মকর্তা ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার (এআরও) দায়িত্বে ছিলেন। আবার যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন না, তাঁদের অনেকের ডিসি হওয়ার মতো যোগ্যতা নেই।অন্যদিকে জেলায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ক ডিসি। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিসহ শতাধিক কমিটির সভাপতি ডিসি। ডিসির জন্য বড় বাংলোবাড়ি থাকে, একাধিক দামি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ থাকে, পুলিশ পাহারা থাকে এবং বাসায় থাকে নিরাপত্তাকর্মী ও রান্নার লোক। ফলে অনেক কর্মকর্তার কাছে এ পদটি আকর্ষণীয়।
ডিসি পদে যোগ্য কর্মকর্তা খুঁজে বের করতে গত বুধবার থেকে উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সাক্ষাৎকারে বিসিএস ২৯তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। বুধবার রাতে ২০ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে নেওয়া হয় আরও ২০ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেও সাক্ষাৎকার নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ শনিবার পর্যন্ত ২৯ ব্যাচের মোট ১১০ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত জুন ও জুলাই মাসে বিসিএস ২৮তম ব্যাচের ১৬০ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সেখান থেকে ২০ কর্মকর্তাকে ডিসি পদের জন্য বাছাই করা হয়েছিল। তাঁদের বেশির ভাগ বিগত নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন। ওই ব্যাচের কাউকে এখনো ডিসি পদে পদায়ন করা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সচিবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে বিগত নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কাউকে এবার যুক্ত করা হচ্ছে না। যদিও বাস্তবতা হচ্ছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেননি, এমন কর্মকর্তা খুব কম।
গত জুন ও জুলাই মাসে বিসিএস ২৮তম ব্যাচের ১৬০ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সেখান থেকে ২০ কর্মকর্তাকে ডিসি পদের জন্য বাছাই করা হয়েছিল। তাঁদের বেশির ভাগ বিগত নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন। ওই ব্যাচের কাউকে এখনো ডিসি পদে পদায়ন করা হয়নি।রাজনৈতিক দলের দাবি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া তিনটি নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত, একতরফা ও পাতানো। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন প্রার্থীরা। ২০১৮ সালের নির্বাচন ‘রাতের ভোট’ নামে পরিচিত। ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচিতি পেয়েছে ‘ডামি ভোট’ নামে।
তিন নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশের তৎকালীন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের এবারের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার দাবি জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মাঠ প্রশাসনে বিশেষ করে ডিসি, এডিসি (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক), ইউএনওসহ (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) বিচারিক দায়িত্বে এমন কাউকে পদায়ন করা হবে না; যিনি গত তিনটি নির্বাচনের কাজে যুক্ত ছিলেন। ন্যূনতম ভূমিকা থাকলেও তাঁকে এই নির্বাচনে দায়িত্বে রাখা হবে না।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
নতুন নিয়োগ কত জেলায়
কাদের ডিসি নিয়োগ দেওয়া যাবে, সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি নীতিমালা রয়েছে। ২০২২ সালে প্রণীত সর্বশেষ ‘পদায়ন নীতিমালায়’ বলা হয়, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মচারীদের মধ্য থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার এক বছর পর ডিসি পদে পদায়নের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
নীতিমালায় আরও রয়েছে, ডিসি পদে ‘ফিট লিস্ট’ বা যোগ্য তালিকা তাঁদের নিয়েই করা হবে, যেসব কর্মকর্তার মাঠ প্রশাসনে ন্যূনতম দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ছাড়া একজন কর্মকর্তার আগের পাঁচ বছরের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনের (এসিআর) রেকর্ড এবং চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা প্রতিবেদন সন্তোষজনক হতে হবে।
সাধারণত উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক করা হয়। ডিসি নিয়োগে সাক্ষাৎকার নেয় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি, যেটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এখন ২১ জেলায় ডিসি রয়েছেন বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই ব্যাচের সবাইকে মাঠ প্রশাসন থেকে তুলে আনার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বিসিএস ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা ডিসি রয়েছেন ২৭ জন। দক্ষতার ঘাটতির কারণে এ ব্যাচের কিছু কর্মকর্তাকে তুলে আনা হবে। অন্য ১৬ জন ডিসি বিসিএস ২৭তম ব্যাচের। নির্বাচনের আগে অন্তত ৩০ জন নতুন ডিসি পদায়ন করার কথা রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২৮ ও ২৯ ব্যাচের কর্মকর্তারা এখন ডিসি হওয়ার যোগ্য। তবে তাঁদের বেশির ভাগ ২০১৮ সালের নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন। আবার এই দুই ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন, যাঁদের মাঠ প্রশাসনে ন্যূনতম দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা নেই। ফলে তাঁরা ডিসি হওয়া থেকে বাদ পড়ছেন।
জনপ্রশাসনে ২৮তম ব্যাচের ১৯৬ জন কর্মরত রয়েছেন। ২৯তম ব্যাচের রয়েছেন ১৯৮ জন। তাঁদের মধ্যে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন এমন পাঁচ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা মনে করেন, বিগত তিন জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কাউকে আসন্ন নির্বাচনে রাখা হবে না—এমন সিদ্ধান্ত প্রশাসনে ভুল বার্তা দিচ্ছে। মাঠ প্রশাসনে যাঁরা ইউএনও ছিলেন, স্বাভাবিকভাবে তাঁরা সবাই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। সরকারের দেখা উচিত, কারা অতি উৎসাহী ও দলান্ধ হয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁদের বাদ দেওয়া উচিত।
সরকারকে ‘দোষ দেওয়া যায় না’, তবে...
ডিসিসহ জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নে পরামর্শ দিতে গত ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক একটি কমিটি গঠন করে সরকার। ছয় সদস্যের কমিটির সভাপতি করা হয় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে। তবে এই কমিটির কোনো কোনো সদস্য পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন বলে একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ‘জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি’ বাতিল করে দেয় সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সরকার আশ্বাস দিচ্ছে, নির্বাচনকালে পদায়নের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে।
বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর ও সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে সরকারি কর্মকর্তারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। সে হিসেবে সেসব কর্মকর্তাকে বাদ দেওয়ার জন্য সরকারকে দোষ দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, যেটা করা যেত, কারা দলদাস ছিলেন, কারা বাধ্য হয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, তার একটি শ্রেণিবিন্যাস করা উচিত ছিল। সেটা করতে পারলে এখন ডিসি পদে পদায়নে এত জটিলতা তৈরি হতো না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য চ র কর মকর ত কর মকর ত দ র ন কর মকর ত ২০১৮ স ল র কর মকর ত ক ব তর ক ত ন মন ত র সরক র র দ ই বছর ন য নতম উপদ ষ ট ক ত কর ত কর ম র জন য ব স এস র অন ক সহক র হওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর
আইপিএল ২০২৬ মৌসুমের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) নতুন হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিল অভিষেক নায়ারকে। গত মৌসুমে তিনি ছিলেন চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের সহকারী কোচ। এবার সেই জায়গা থেকেই পদোন্নতি পেয়ে দলের দায়িত্বভার নিলেন তিনি। এর আগে এক বছরের বিরতিতে নায়ার কাজ করেছিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী হিসেবে।
সম্প্রতি নারী প্রিমিয়ার লিগের দল ইউপি ওয়ারিয়র্সও তাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।
আরো পড়ুন:
শেষটায় কী অপেক্ষা করছে?
ফাইনালে যেতে ভারতকে ৩৩৯ রানের টার্গেট দিলো অস্ট্রেলিয়া
কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর এক বিবৃতিতে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে অভিষেক কেকেআর পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠের ভেতরে ও বাইরে- দুই জায়গাতেই তিনি আমাদের খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। খেলার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো বোঝার ক্ষমতা আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে গভীর সংযোগ; দুটোই তাকে আলাদা করে রেখেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখন তিনি প্রধান কোচ হিসেবে কেকেআরকে নতুন অধ্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন।”
৪২ বছর বয়সী অভিষেক নায়ার একসময় ছিলেন মুম্বাইয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালে ভারতের জার্সি গায়ে তিনটি ওয়ানডেও খেলেছেন তিনি। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের চেয়ে কোচ হিসেবে তার সিভিটাই এখন অনেক সমৃদ্ধ।
২০১৮ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ দিকে নায়ার কেকেআর একাডেমির প্রধান কোচ নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে অবসরের পর মূল দলের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেন।
কেকেআরে থাকাকালীন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তার গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। যখন গম্ভীর ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন, তখন নায়ারও তার সহকারী হিসেবে যোগ দেন। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআইয়ের পর্যালোচনার পর এক বছরেরও কম সময়ে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এরপর আইপিএল ২০২৫ মৌসুমের আগে তিনি ফের ফিরে আসেন কেকেআরে।
তিন মৌসুম পর কেকেআর ও চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের পথ আলাদা হয়ে যায়। সেই সময়ের মধ্যে দলটি দশ বছর পর ২০২৪ সালে আইপিএল শিরোপা জিতেছিল। তবে ২০২৫ মৌসুমে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে মাত্র পাঁচ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকাটা শেষ পর্যন্ত পান্ডিতের বিদায়ের কারণ হয়। এরপর তিনি ফিরে যান নিজ রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এবং সেখানে ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব নেন।
কেকেআরের সহায়ক দলেও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বোলিং পরামর্শক ভরৎ অরুণ ও স্পিন-বোলিং বিশেষজ্ঞ কার্ল ক্রো দুজনই চলে গেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে। ফলে আগামী কয়েক মাসে তাদের বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু হবে।
অর্থাৎ, নতুন করে সাজানো কেকেআর এখন নতুন কোচ অভিষেক নায়ারের হাত ধরে এগোতে প্রস্তুত। আইপিএল ২০২৬-এ আবারও পুরনো জৌলুস ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায়।
ঢাকা/আমিনুল