বারবার মাথায় আঘাত, ২৭ বছরেই ক্রিকেট ছাড়লেন সেই পুকোভস্কি
Published: 8th, April 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের এক প্রতিশ্রুতিশীল নাম ছিলেন উইল পুকোভস্কি। টেস্ট দলে তার ভবিষ্যৎ ছিল উজ্জ্বল। তবে একের পর এক মাথায় আঘাত, অর্থাৎ কনকাশনের কারণে মাত্র ২৭ বছর বয়সেই সব সম্ভাবনায় ইতি টানলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন, তিনি আর ক্রিকেট খেলবেন না।
মাত্র এক টেস্ট খেলেই শেষ হলো পুকোভস্কির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ২০২১ সালে ভারতের বিপক্ষে ঐ একমাত্র টেস্টে খেলেছিলেন তিনি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে বারবার কনকাশনে আক্রান্ত হতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে শেফিল্ড শিল্ডে খেলতে গিয়ে তাসমানিয়ার পেসার রিলে মেরেডিথের বাউন্সারে মাথায় গুরুতর আঘাত পান পুকোভস্কি। সঙ্গে সঙ্গেই কনকাশন বদলি হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনে অন্তত ১৫ বার মাথায় আঘাত পাওয়া এই ব্যাটারকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র মেডিকেল প্যানেল গঠন করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। প্যানেল অবসরের পরামর্শ দিলেও, নিজের চুক্তি, বীমা ও আর্থিক বিষয় বিবেচনা করে কিছুটা সময় নেন তিনি।
অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে মেলবোর্নের একটি রেডিও স্টেশনে পুকোভস্কি বলেন, ‘আমি ক্রিকেটকে সবকিছু দিয়েছি। কিন্তু বারবার মাথায় আঘাত পাওয়ার পর বুঝতে পেরেছি, এটা আর আমার শরীরের পক্ষে সম্ভব নয়। এই সিদ্ধান্তে অনেকে হতাশ হবেন জানি, কিন্তু আমার কাছে এখন এটা জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার। আমি চাই না বাকি জীবনটা বিছানায় শুয়ে কাটাতে হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত এক বছর আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারতাম না, হেঁটে বের হওয়াও কষ্টকর ছিল। মাথাব্যথা, ক্লান্তি, বমিভাব – প্রতিদিনের সঙ্গী ছিল এসব। এমনকি আমার বাগদত্তাও হতাশ হতেন, কারণ আমি কোনো কাজেই সাহায্য করতে পারতাম না। সারাদিন ঘুমিয়ে থাকতাম।’
কনকাশনের প্রভাবে তার দৃষ্টিতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। জানান, ‘শরীরের বাঁ পাশে কিছু চলাচল করলেই মাথা ঘোরে, অসুস্থ বোধ করি। মোশন সিকনেস খুব বেশি হয়। স্বাভাবিক জীবনযাপনটাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তবে ক্রিকেট ছাড়লেও এই খেলার সঙ্গেই থাকছেন পুকোভস্কি। ২০২৫-২৬ মৌসুমে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেবেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি ধারাভাষ্যকার হিসেবেও কাজ করেছেন।
অভিযোগ নেই, কেবল কৃতজ্ঞতা নিয়ে পুকোভস্কি বলেন, ‘ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি গর্বিত, যদিও মন ভেঙে গেছে। আমি জানি, আমি সর্বোচ্চটা দিয়েছি। এখন চাই সুস্থ জীবন।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৫.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে স্কুল শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায় জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।
বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে বিদ্যালয়ের হলরুমে স্মৃতিচারণামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দেদারুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন আলম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা, সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আমিন প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৬ দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি
স্কুল ভবনে ক্লাস চলাকালে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ বিমান
আয়োজকরা জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমান এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তারা অবসরে গেছেন। তাদের বিদায় সংবর্ধনা স্মরণীয় করে রাখতে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, ‘‘দীর্ঘ ২১ বছর এই বিদ্যালয়ে চাকরি করেছি। চলার পথে কোনো ভুল-ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা করবেন। চাকরি জীবন শেষে এমন সংবর্ধনা পাব কল্পনাও করিনি। এ জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’’ এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, ‘‘চাকরি জীবনে সবাইকেই অবসর নিতে হবে। আজ আমরা ইংরেজি শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় জানিয়েছি। এটা কষ্টের হলেও সবাইকে মেনে নিতে হবে। বিদায়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে তাদের দুজনকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে।’’
ঢাকা/সোহাগ/রাজীব