‘পরিবাররে সবার তুলনায় মা আমার অভিনয় সবচেয়ে বেশি ভুল ধরেন। এজন্য তাকে নিয়ে ঈদের দিন সিনেমাটি দেখেছি। সেদিন মা আমাকে পাশ নম্বর দিয়েছেন। এরপর আমার জন্য বড় পরীক্ষা ছিল দর্শক। তারা যেহেতু ভালো বলেছেন সেহেতু ধরেই নিয়েছি দর্শকের পরীক্ষায় পাশ করে গেছি।’

সোমবার রাতে রাজধানীর এয়ারপোর্ট রোডের সেন্টারপয়েন্ট শপিং মল স্টার সিনেপ্লেক্সে বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ‘দাগি’ টিম। সিনেমা দেখা শেষে কথাগুলো বলেন নায়িকা তমা মির্জা।

বিরতির পর যে তমা মির্জাকে দেখা গেছে সেটা পর্দায় উপস্থাপন করা নাকি তার কাছে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। তমা মির্জার কথায়, ‘আমার মনে হয়, বিরতির পর যে আমি হয়ে ফিরলাম সেটা আমার জন্য বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, আমার জেরিন চরিত্রটার মধ্যে অনেকগুলো লেয়ার ছিল। যেগুলো ফুটিয়ে তুলতে আমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি এটাই আমার জন্য প্রাপ্তির।’

তমা মির্জার মতে, ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশো, সুনেরাহ বিনতে কামাল, রাশেদ মামুন অপুর চরিত্র ছিল একেকটা গহনার মত।

তমা বলেন, “আমাদের ‘দাগি’ সিনেমার সবগুলো চরিত্র দারুণ। এখানে আফরান নিশোর বিকল্প কিছুই ছিল। নিশান চরিত্রটা তিনি (নিশো) যেভাবে প্লে করেছেন তাতে অন্য কাউকেই চিন্তা করা যায় না। এছাড়া সুনেরাহ বিনতে কামাল, রাশেদ মামুন অপু যা করেছে, তাঁদের অভিনয় দেখে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। প্রত্যেকটা সময় অভিনয়ে তাঁরা মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। এছাড়া মানিরা মিঠু, গাজী রাকায়েত, শহীদুজ্জামান সেলিমসহ সবগুলো চরিত্র ছিল একেকটা অলংকারের মত। একজনকে বাদ দিয়ে ‘দাগি’ সিনেমা কল্পনা করা যায় না।”

সমাজের অন্ধ চোখ আর বন্ধ মগজ খুলে দেয়ার বার্তা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘দাগি’। শিহাব শাহীন পরিচালিত সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের আলফা আই, চরকি ও ভারতের এসভিএফ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: তম ম র জ আফর ন ন শ আম র জ

এছাড়াও পড়ুন:

শাহবাজ শরিফ–জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, কী বললেন

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল বুধবার দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রুবিও।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনকলে পেহেলগামে হামলার ‘নিন্দা জানানোর প্রয়োজনীতা নিয়ে’ কথা বলেন রুবিও। একই সঙ্গে ‘অযৌক্তিক’ এই হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা আলাদা একটি ফোনকলে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পেহেলগামে হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে এবং প্রতিশোধের যে হুমকি দিচ্ছে—এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।

ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রুবিও)। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা–ও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ